ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

CASH TRANSACTION – ভুল করেও এমন জায়গায় নগদ লেনদেন করবেন না, নতুবা INCOME TAX এর আওতায় চলে আসতে পারেন আপনি

আজকালকার দিনে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সারা ভারতে

Advertisement
Advertisement

দেশে ডিজিটাল পেমেন্টের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করেছে। বলতে গেলে এই যুগটা একেবারেই ডিজিটাল পেমেন্ট এর যুগ। শুধুমাত্র ডিজিটাল পেমেন্ট যে ভারতের সহজ হয়েছে তাই নয়, লেনদেনের ক্ষেত্রেও এই ডিজিটাল পেমেন্টকে বেশ নিরাপদ বলে মনে করা হয়। দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আজকাল ডিজিটাল লেনদেনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে। অনেকে আবার নগদ লেনদেন কে এখনো বেশি ভালো মনে করলেও, নগদ লেনদেনের কিন্তু একটা লিমিট রয়েছে। ২ লক্ষ টাকার বেশি নগদ কিন্তু আপনি লেনদেন করতে পারবেন না একসময়। সে ক্ষেত্রে আপনি আয় করের আওতায় আসতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি সর্বোচ্চ মূল্যের নগদ লেনদেনের ব্যাপারে, যেখানে আয়কর দপ্তর সব সময় নজর রাখে। এখানে কোন ভুল থাকলে কিন্তু আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।

Advertisement
Advertisement

১. ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ

Advertisement

ক্রেডিট কার্ডের বিল এক লক্ষ টাকার বেশি হয়ে গেলে আপনি নগদে পরিশোধ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনি বড় সমস্যায় পড়ে যাবেন যদি আপনি পুরো টাকাটা ক্যাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করেন। এমন পরিস্থিতিতে আয়কর দপ্তর আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই অর্থ আপনি কোথা থেকে পেয়েছেন তার উৎস আপনাকে প্রকাশ করতে হবে। একই বছরে যদি ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ বা অনলাইন লেনদেন করা হয় তাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।

Advertisement
Advertisement

২। ব্যাংক একাউন্টে নগদ জমা

প্রতিবছর ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করলে ব্যাংক থেকে আপনার কাছে সরাসরি নোটিশ আসবে। এক এপ্রিল থেকে ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত সেভিংস একাউন্টে যদি ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি আয়করের আওতায় আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হতে পারে।

৩. ফিক্স ডিপোজিটে নগদ জমা

যদি একজন ব্যক্তি আর্থিক বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ বিনিয়োগ করেন তাহলে তিনি আয়কর বিভাগ থেকে একটি নোটিশ পেতে পারেন। এমনকি যদি আপনার একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা থাকে তাহলেও আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন।

৪. সম্পত্তি লেনদেন

যদি কোন সম্পত্তি কেনার সময় আপনি ৩০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ লেনদেন করে ফেলেন তাহলে অবশ্যই সম্পত্তি রেজিস্টার আয়কর বিভাগকে এই ব্যাপারে অবহিত করবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে লেনদেনের কারণ এবং টাকার উৎস জানাতে হতে পারে।

৫. শেয়ার মিউচুয়াল ফান্ড ডিবেঞ্চার এবং বন্ড কেনা

অনেক মানুষ শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার বা বন্ডে বিনিয়োগকে ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। এই ধরনের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের অর্থ সঞ্চয় করার অভ্যাসকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু যদি কেউ শেয়ার মিউচুয়াল ফান্ড ডিবেঞ্চার বা বন্ড কেনার জন্য প্রচুর পরিমাণে নগদ ব্যবহার করেন তাহলে আয়কর দপ্তরের তরফ থেকে আপনার কাছে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। আপনি ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ বিনিয়োগ করতে পারবেন না সেক্ষেত্রে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button