নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“অরাজকতার কেন্দ্রবিন্দু বাংলা, আজ দুর্গামায়ের আশীর্বাদে বেঁচেছি”, ডায়মন্ড হারবার থেকে মন্তব্য জেপি নাড্ডার

Advertisement
Advertisement

বাংলা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ তার একাধিক শীর্ষ নেতাদের সাথে ডায়মন্ড হারবারে সভা আছে। একাধিক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে তিনি পৌঁছাতে পেরেছেন তার সভাস্থলে। কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে তার এবং অন্যান্য নেতা কর্মীদের কনভয় ঘিরে বিক্ষোভকারী দল হামলা চালায়। তাদের গাড়ি উদ্দেশ্য করে ইট, পাথর, ভাঙ্গা কাচের বোতল ইত্যাদি ছোড়া হয়। অনুপম হাজরা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখের গাড়ির কাচ অব্দি ভেঙে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মীসভার সভাস্থলে পৌঁছে নাড্ডা শাসক দলকে একহাত নিয়ে বলেন, বাংলায় যে এই গুন্ডারাজ এবং অরাজকতা চলছে তার বেশি দিন চলবে না। সামনে বছরেই বাংলার মাটিতে ফুটবে পদ্ম ফুল।

Advertisement
Advertisement

জেপি নাড্ডা এদিন সভাস্থলে গিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ হেনেছেন। তিনি বলেছেন, “আজ সকালে আসতে আসতে পথে যা দৃশ্য দেখেছি, তা দেখে মমতা শাসনে বাংলার অরাজকতা বেশ চোখে পড়েছে। বাংলা অসহিষ্ণুতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দুর্গা মায়ের আশীর্বাদে আজ আমি বেঁচে গেছি। তৃণমূল ও তৃণমূলের গুন্ডারাজ গণতন্ত্রের গলা টিপে মারতে চেষ্টা করছে। তবে রাজ্যে এই গুন্ডারাজ আর বেশিদিন চলবে না। আগামী একুশে নির্বাচনের পর বাংলার হাল ধরতে আসছে গেরুয়া শিবির।”

Advertisement

তিনি শাসক দলকে আরও কটাক্ষ করে বলেন, “আমি এমনিতে বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে বলে বলি না। আজকের ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল। আমার গাড়ি বুলেটপ্রুফ হাওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু অন্যান্য কৈলাসজি বা রাহুল দার গাড়ির অবস্থা দেখলেই আপনারা বুঝবেন কি পরিমানে আক্রমণ চলেছে আমাদের উপর। হামলায় আমাদের একাধিক নেতাকর্মী সেইসাথে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হয়েছে। বাংলায় গুন্ডারাজ সরিয়ে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।”

Advertisement
Advertisement

নাড্ডা এদিন সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে কটাক্ষ করে বলেছেন, “মমতাদির শাসনে বাংলায় সভ্যতা-সংস্কৃতি অধঃপতন ঘটবে। সে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছে, বাংলার রবীন্দ্রনাথ বা অরবিন্দ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুই তোকারি ভাষা শিখিয়েছে?” আজকে ডায়মন্ডহারবারের সভা শেষ করে তিনি জেলা ব্লক সভাপতিদের সাথে বৈঠক করবেন। তারপর সেখান থেকে সরাসরি রওনা হবে সরিষা রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্দেশ্য।

Advertisement

Related Articles

Back to top button