নিউজবাজারদররাজ্য

লক্ষী পুজোর আগে অগ্নিমূল্য বাজার দরকে হজম করছে বাঙালি!

Advertisement
Advertisement

প্রীতম দাস, নিজস্ব প্রতিনিধি: মা দুর্গার কৈলাস যাত্রা শেষ হতে না হতেই বাংলার ঘরে আসতে চলেছেন ধনদেবী মাতা লক্ষী। ফের যেনো নতুন এক নতুন রূপে জেগে উঠেছে রাজ্য ও রাজ্যবাসী। রাত পোহালেই “এসো মা লক্ষী বসো ঘরে” বলে বাঙালি আহ্বান করবে ও পূজা আরাধনা করে মাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টায় উৎসুক হয় আছে। নতুন করে সেজে উঠছে প্যান্ডেল, সঙ্গে জোর কদমে চলছে আলোক সজ্জার কাজ। প্রতি বছর এর মত এবারও দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে কোজাগরী লক্ষীপূজা করছে বারোয়ারিগুলি।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে অনেক পরিবারেই কোজাগরী লক্ষীপূজার চল আছে। ফলে সেই সব পরিবারে প্রতিমা কেনা, ফল ফুল কেনা, কলার ভেলা, তালের ফোপল কেনার তোড়জোড় শুরু হয় গিয়েছে সকাল থেকেই। সঙ্গে দর্শকর্মা দোকান পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী কেনা, বিভিন্ন পদের জন্য প্রয়োজনীয় কাচা আনাজ, তেল, চিনি, নুন, ডাল কেনা ইত্যাদি। আর পুজোর সময় এইসব জিনিস কেনাকাটা করতে গিয়ে চড়া অগ্নিমূল্য এর তাপে গরীব মধ্যবিত্ত বাঙালিগনকে ভালোমত ছেকা খেতে হয়েছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই!

Advertisement

তবে এই জিনিস নতুন নয়। প্রতি বছর লক্ষীপুজোর আগে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে এই ধরনের ছেকার জ্বালা সহ্য করতে হয়। শুধু লক্ষীপূজা নয়, প্রত্যেক পূজার আগে অগ্নিমূল্য বাজার দরকে বাঙালিকে হজম করতে হয়। ধন ভান্ডারের দেবীর পূজা করার বিশেষ একটি দিন, তাই বাঙালি সামর্থ্য মেপে বাজেট ঠিক করেন। মাকে সন্তুষ্ট করা নিয়ে কথা তাই যতোই হোক সব কিছু তুচ্ছ করে তার মধ্যেই মাকে ভক্তি , পুজো মাধ্যমে তুষ্ট করার জন্য ও পরিবারের পরম্পরা ধরে রাখার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন আপামর বাঙালি।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button