আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যে এসে পৌঁছেছে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড করোনা ভ্যাকসিন। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধারা টিকা পাবেন। তাদের মধ্যে আছে ডাক্তার, পুলিশ, সাফাই কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী প্রমুখরা। তবে ইতিমধ্যেই টিকাকরণ এর মধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগে গেছে। আসানসোল বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) করোনার টিকা চুরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমনকি চুরি যাতে না হয় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাবুল সুপ্রিয় এদিন সাংবাদিকদের সামনে করণা টিকা প্রসঙ্গে শাসকদলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছেন। তিনি সরকারের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন বিলি প্রসঙ্গে সমালোচনা করেছেন। সেই সাথে তিনি ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমফানের চালের মত যাতে টিকা না চুরি হয়ে যায়, সেটা মুখ্যমন্ত্রী কে দেখতে হবে।” এছাড়াও তিনি বলেছেন,”মুখ্যমন্ত্রী বলছে উনি নাকি বিনামূল্যে টাকা দিচ্ছেন। ওসব সব বাজে কথা। এই টিকা বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে। এতে রাজ্য সরকারি কোনো হাত নেই।” সেই সাথে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে বলেছেন, “উনি তো নিজেই বলেন ওনার কাছে টাকা নেই। তাহলে এখন বিনামূল্যে টাকার জোগাড় কোথা থেকে করবেন?”
প্রসঙ্গত আজকে বাবুল সুপ্রিয়র গলায় আসানসোলের তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অন্য সুর শোনা গেছে। তিনি প্রায়ই তার অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বলেছেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাছে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কাজ শেখা উচিত।” উল্লেখ্য, এর আগে যখন জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলের বিরুদ্ধে গলার স্বর তুলেছিলেন তখন বাবুল সুপ্রিয় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, উনার মত লোককে বিজেপিতে নেওয়া যাবে না। কিন্তু তারপর জিতেন্দ্র তিওয়ারি আবার তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু তৃণমূলে যোগদান করলেও তার পুরোনো পদ তিনি ফিরে পাননি। বরং তাঁর জায়গায় বসেছে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। আজকে সেই অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পদ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।