টলিউডবিনোদন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা

×
Advertisement

স্মৃতি শামসুন্নাহার, যিনি পরীমনি নামে অধিক পরিচিত দুই বাংলাতে। একজন বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী বললেও কিছু কম নন। রবিবার রাতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। আর সেই পোস্ট এখন রীতিমতো ভাইরাল। না কোনো ছবি বা ফটোশুট পোস্ট নয়। পরীমণির অভিযোগ করেন তাঁকে ধর্ষণ আর খুন করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করলেও কোনও ফল পাননি তিনি। বেজায় হতাশ হয়ে বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ফেসবুকের দেওয়ালে এক খোলা চিঠি লেখেন পরীমণি। যদিও সেই চিঠিতে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আনেননি নায়িকা। 

Advertisements
Advertisement

খুন আর ধর্ষণের এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন অভিনেত্রী ৷ফেসবুক পোস্টে অভিযুক্তের নাম না জানালেও পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে আনেন পরীমণি। তিনি বলেন বাধ্য হয়েই প্রকাশ্যে সকলের সামনে একথা বলছেন তিনি ৷ ফেসবুক পোস্টের কয়েক ঘণ্টার পর সাংবাদিকদের পরী জানান, তাঁকে হত্যা ও ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম। অভিনেত্রী জানান, তাঁর ওপর নারকীয় অত্যাচার চালিয়েছেন তিনি হলেন নাসির ইউ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।

Advertisements

পরী আরো জানান, এই ঘটনাটি ঘটেছে চার দিন আগে ঢাকার বোট ক্লাবে। এই ক্লাবের একজন পরিচালক হলেননাসির ইউ মাহমুদ। তিনি উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তিনি আরো বলেন, বেশ ক’দিন ধরেই এই মিটিংয়ের কথা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই মিটিং এ আগ্রহ দেখাননি। এই ব্যক্তির অনুরোধেই শেষপর্যন্ত ওই দিন রাতে মিটিং করতে যান। যাওয়ার পর যা ঘটেছে তাও বলছেন তিনি।

Advertisements
Advertisement

তিনি আরো জানান, সেদিন রাতে তাকে পানীয় জলের সঙ্গে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। কারণ, সারাক্ষণ তিনি প্রচণ্ড অস্থির আর অস্বস্তি অনুভব করছিলেন। এরপর কি হয় তা তিনি উল্লেখ করেননি।  বাধ্য হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে পরীমণির প্রথমেই লেখেন, ‘‘তিনি মেয়ে, তিনি নায়িকা, তার আগে তিনি একজন মানুষ। তিনি চুপ করে থাকতে পারেননি। তাঁর সাথে যা হয়েছে তা যদি তিনি কেবল মেয়ে বলে, আরো বলেন। তলোকে কী বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে যদি তিনি চুপ হয়ে যান তাহলে অনেকের মতোতাদের মতো তিনিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।’’

Related Articles

Back to top button