নিউজরাজ্য

মনীশ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার দুই, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন?

Advertisement
Advertisement

টিটাগর: রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার পর থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা ব্যারাকপুর চত্বর। ইতিমধ্যেই তদন্তের দায়ভার এসে পড়েছে সিআইডির কাঁধে। আর এবার তদন্ত করতে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মহম্মদ খুররাম ও গুলাব শেখ। জানা গিয়েছে, পুরনো শত্রুতার জেরে খুন হয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

Advertisement
Advertisement

গতকাল, সোমবার রাতে দফায় দফায় এই দুই ধৃতদের জেরা করা হয়েছে। প্রথমে জেরা করে টিটাগর থানার পুলিশ। তারপর ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকরা জেরা করেন এবং সব শেষে সিআইডির আধিকারিকরা জেরা করেন। এই দু’জনকে দফায় দফায় জেরা করার ফলে তাদের বয়ানে কিছু অসঙ্গতি মেলে। তারপরেই জানা যায় পুরনো শত্রুতার জেরে খুন করা হয়েছে বিজেপি নেতাকে। এই দুজনকে আদালতে তোলা হবে এবং এদের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগর থানার সামনে খুন হন বিজেপির দাপুটে নেতা মনীশ শুক্লা। আর তার জন্য রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা ব্যারাকপুর এলাকা। তৃণমূল-কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা মনীশ শুক্লাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাল্টা অভিযোগ করতে ছাড়েনি শাসক দলও। তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন। যদিও আজ, সোমবার এই খুনের প্রতিবাদে ব্যারাকপুরে ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি। কিন্তু এই বনধকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করে ব্যারাকপুরবাসী।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে, গতকাল, সোমবার মনীষ শুক্লার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলা হয় চোদ্দটি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছে অর্জুন সিং-এর ডান হাত। এদিন নীলরতন সরকার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার দেহ। দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজভবনের দিকেও। তারপর শেষকৃত্যের জন্য দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। মনীশকে শেষবারের জন্য দেখার জন্য বিকেলেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন হুগলির সাংসংদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা হাসপাতাল চত্বর। পরবর্তী সময়ে এই খুনের ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।

Advertisement

Related Articles

Back to top button