স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানেন উত্তরকন্যা অভিযানের সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে, বক্তব্য মুকুলের

Advertisement

Advertisement

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে উত্তরবঙ্গের কথা। সেখানে বিজেপি কর্মীদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল যে সমস্যার, তার কথা জানেন অমিত শাহ। সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে এই কথাই শোনা গিয়েছে বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের মুখে।

Advertisement

এইদিন বিভিন্ন কারণকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। ঠাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা সংগঠন। এইদিন দলের নেতা কর্মীদের ওপর পুলিশ ব্যবহার করেছে জলকামান, ব্যবহার করা হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। মারধর করে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ এনেছে বাংলার গেরুয়া শিবির।

Advertisement

এইদিন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতা ফিরে সাংবাদিক দের সাথে কথা বলেন বিজেপির সহ সভাপতি। তখন তিনি জানান যে সমস্ত ঘটনাটি জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েও তাকে কটাক্ষ করেন মুকুল। তার বক্তব্য,”একসময় যার মুখে শোনা যেত, পুলিশ মানুষের আন্দোলন আটকাতে পারেনা, তিনি আজ নিজের কথাই ভুলে গিয়েছেন।”

Advertisement

রাজবংশী মানুষের খুনের অভিযোগও তিনি তুলেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। আজকের কর্মসূচির বিষয়ে আগেই জানানো হয়েছিল। তবে তারপরও যা করা হয়েছে, তা খুবই লজ্জার। পুলিশ হতে গুলি চালানো হয়েছে, ছোঁড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়েছে কর্মীদের। এর থেকে বোঝা গেল যে এই রাজ্যে গণ আন্দোলন করা যায়না। এমনটাই এইদিন শোনা গিয়েছে মুকুল রায়ের মুখে। তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়টা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানকে ঘিরে সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও বিজেপি সমর্থকদের মাঝে। একদিক পুলিশ হতে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয় কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানের মাধ্যমে। অন্যদিকে পুলিশের দিকে ইট বৃষ্টি করে গেরুয়া কর্মীরা। আটক করা হয়েছে দলের বেশ কিছু মহিলা কর্মীকেও। এইদিন তাদের সাথে দেখা করতে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এইদিন এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন দলীয় কর্মী। সোমবার তথা আজ তাদের দেখতে ফুলবাড়ির হাসপাতালে পৌঁছান দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন,” হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়েছে একজন বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের। তার গায়ে ছিল বন্ধুকের গুলির ছিটে। ময়না তদন্তে এর পরও জানা যায়নি সঠিক কারণ। তবে রয়েছেন আরও ১৫ জন। তাদের সাথে আলাপ হয়েছে। প্রত্যেকের দেহেই আছে গুলির দাগ। পাখি মারার বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে।”

Recent Posts