নিউজরাজ্য

আয়লার থেকে ভয়ঙ্কর আমফান, আগামীকাল বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement
Advertisement

প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে যথেষ্ট তৎপর প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে এই বিষয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আগামীকাল ১২টার পর কেউ বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। দুপুর ২টো নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে এটি আছড়ে পড়বে। সেটি মধ্যরাত পর্যন্ত থেকে তারপর বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। এই ঝড়ের তিনটে অংশ রয়েছে, প্রথমে মাথা, তারপর চোখ এবং সবশেষে রয়েছে টেইল। এই টেইলই সব উড়িয়ে নিয়ে যায়।”

Advertisement
Advertisement

তিনি আরও বলেন,”ওড়িশাতে ফণীর সময় এটাই হয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়টি আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে। ‘আমফান’ এর দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পশ্চিম মেদিনীপুর। কাল দুপুর থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সবাই একটু বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। আর যারা ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন, তারা ত্রাণ শিবিরের ভিতরেই থাকবেন। পরশুদিন প্রশাসন অনুমতি দিলে তারপর বেরোবেন।”

Advertisement

রাজ্যবাসীকে সতর্ক করারা সাথে সাথে তিনি জানান বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নবান্নে থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, মৌসুনি আইল্যান্ড, নামখানা, ঘোড়ামারি, কাকদ্বীপ, গোসাবা, ফ্রেজারগঞ্জ এই অঞ্চলগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে আশঙ্কা করে, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অতিরিক্ত সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন তিনি।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ, বসিরহাট, সন্দেশখালি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, নারায়ণগড় এলাকাতেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছে একটি টাস্কফোর্স। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত এই টাস্কফোর্স ২৪ ঘন্টা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

Related Articles

Back to top button