একজন চাকরিপ্রার্থীর পক্ষে চাকরি পাওয়া কতটা কঠিন? নিজের বায়োডাটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দিতে হয়, তারপর বেশ কয়েক দফা ইন্টারভিউ করা হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কোথাও চাকরি পাবেন। কোম্পানীর পক্ষে সেরা প্রার্থী খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। চাকরির আবেদনের আধিক্য থেকে সেরা প্রার্থী নির্বাচন করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এই কঠিন পথকে আরও সহজ করে দিয়েছে। এখন আপনি সহজে কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। AI কাজ করলে আপনি বছরে কয়েক কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
অনলাইনে অনেক এআই-ভিত্তিক সরঞ্জাম পাওয়া যাবে যা আপনাকে চাকরি খুঁজে পেতে সহায়তা করে। মজার বিষয় হল, এআই জব টুলস চাকরির আবেদন ফর্ম পূরণ করে এবং আপনার পক্ষে জীবনবৃত্তান্ত প্রেরণ করে। আপনাকে কেবল একবার কিছু বিবরণ পূরণ করতে হবে, তারপরে এআই সরঞ্জামটি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেয়। তারা একসাথে অনেক কোম্পানিতে আপনার হয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারে। স্বয়ংক্রিয় চাকরি অনুসন্ধানের সুবিধা নিতে আপনাকে কিছু অর্থ প্রদান করতে হতে পারে। ল্যাজিঅ্যাপ্লি, সোনারা এবং স্ল্যাকের মতো সংস্থাগুলি আপনাকে পেইড সাবস্ক্রিপশনের সাথে এআই-এর মাধ্যমে চাকরি খুঁজে পেতে সহায়তা করে।
সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়াররা প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। ভারতীয় মুদ্রায় এর বর্তমান মূল্য প্রায় ১.৪ কোটি টাকা। এক বছরের নিরিখে হিসেব করলে এই আয় ৩ লক্ষ ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে, অর্থাৎ প্রায় ২.৫ কোটি টাকা। এই চাকরির জন্য অবশ্যই আপনার বায়োডাটা সেরকম হতে হবে।
বায়োডাটা থেকে কীভাবে এই চাকরি পেতে পারেন?
• জব জিপিটির ক্রোম এক্সটেনশন যুক্ত করে আপনি এক ক্লিকেই প্রায় এক হাজার চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
• লিংকডইনের মতো জব পোর্টালে এই ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে।
• আপনি যে চাকরির জন্য চান, চাকরির অবস্থান এবং একটি সেশনে আবেদন করার জায়গার সংখ্যা সম্পর্কিত দক্ষতাগুলি আপনাকে বেছে নিতে হবে।
• আপনার অবস্থান, বেতন, কাজের পোস্টিংয়ের তারিখ, অভিজ্ঞতার স্তর, শিল্প, কাজের শিরোনাম এবং রিমোট / অনসাইটের উপর ভিত্তি করে কাজগুলি ফিল্টার করতে পারেন।
