নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“আগে লাল চোর, এখন নীল চোর এবং এবার হবে গেরুয়া চোর”, রাজীবকে কটাক্ষ অধীরের

"বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে কে? একমাত্র ক্ষমতা আছে কংগ্রেসের", বললেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী

Advertisement
Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির নেতাকর্মীরা ক্রমশ যেন বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। কোন রাজনৈতিক দলের নেতা অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকে ছেড়ে কথা বলছে না। জবাব ও পাল্টা জবাবের ভিত্তিতে সরগরম হয়ে আছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এবার আজকে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) এর ফেসবুক লাইভ প্রসঙ্গ টেনে তীব্র সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir ranjan chowdhury)। তিনি রাজীবের আত্ম-উপলব্ধিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আগে মনে হয়নি মানুষের হয়ে তিনি কাজ করতে পারছেন না। এখন ১০ বছর পর এই সব কথা মনে হচ্ছে। আসলে আগে লাল চোর, এখন নীল চোর এবং এবার হবে গেরুয়া চোর।”

Advertisement
Advertisement

আজ অর্থাৎ শনিবার ভাঙ্গরে জনসভা করেছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি ৩৭ বছর পর এই সভা করছেন বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তিনি আজ জনসভা থেকে বলেছেন, “তৃণমূল নেতাদের বাহাদুরি পরও আজ সভা হচ্ছে। কারণ আজ দেশের মানুষ নিরাপদ না। কংগ্রেস আমলে রাজ্যবাসীদের নিরাপত্তাহীনতার কোন অবকাশ ছিল না। দেশে হিন্দু ও মুসলমান তর্ক ছিলনা। কিন্তু এখন ক্রমশ অরাজকতায় ভরে যাচ্ছে দেশ। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে কে? একমাত্র ক্ষমতা আছে কংগ্রেসের। ভারতের ইতিহাস তাই বলছে।”

Advertisement

সেই সাথে তিনি রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ দুপুরের ফেসবুক লাইভ সম্বন্ধে তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় বনমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “ওসব লাইভ ভাওতাবাজি। বিজেপিতে যাওয়ার অজুহাত খুঁজছে সে। ১০ বছর পর মনে হচ্ছে যে কাজ করা পরিসর নেই। এতদিন জানতো না চোরের দল! আসলে হিসেবটা খুব সোজা। আগে ছিল লাল চোর। এখন এসেছে নীল চোর। ভবিষ্যতে আসবে গেরুয়া চোর। ওরা মমতার দয়া-দাক্ষিণ্যে মানুষ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মানুষ অধৈর্য হয়ে পড়ছেন।”

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত আজ দুপুরে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ফেসবুক লাইভে গিয়ে বলেছেন, “যখনি আমি কোনো ভালো কাজ করতে গিয়ে পারিনি তখন আমার দুঃখ হয়েছে। সেই থেকে আমার মনে ক্ষোভ জমেছে। সেই ক্ষোভ আর আমি কার সাথে ভাগ করে নেব? তাই আজ আপনাদের সাথে সব দুঃখ কষ্ট ভাগ করতে এলাম। আমি যাই করতে চাই তাতে বাধা পায় এবং বাধা পেয়ে তা নিয়ে কিছু বলতে গেলে সেটা অন্যায় হয়ে যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর তোলা মানেই অন্যায়। কিছু মানুষ ক্রমাগত সবাইকে ভুল বুঝাচ্ছে। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা। আমার যা বলার ইচ্ছা আশা করি আমি তা বলতে পারি।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button