দেশনিউজ

১৩ টি কুকুরের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন চেন্নাইয়ের এক মহিলা

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মানব ধর্ম সবার উপরে। একটা মানুষের মানবিকতায় প্রমাণ করে সে কতটা মানুষ। মানুষ মনে মনে কতটা সহৃদয় হবে তা সে মাসের শেষে কত মাইনে পায় তার উপর নির্ভর করে না। অনেক হত দরিদ্র মানুষ নিজের ভাগ থেকে খেতে দেন রাস্তার পশুদের। আবার অনেক উচ্চবিত্ত মানুষ রয়েছেন, যারা সেই রাস্তার কুকুর, বিড়ালকে না খেতে দিয়ে মেরে ফেলতে চান।

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ছবিটা আমাদের প্রত্যেকের সামনে উঠে এসেছে। চেন্নাইয়ের মিনা নামে এই মহিলা, তিনি মূলত রান্নার কাজ করেন, কিন্তু তার রাস্তার কুকুর এর ওপরে অগাধ ভালোবাসা। তার জীবনটা তিনি এদের জন্যই উৎসর্গ করেছেন। করোনা ভাইরাস এর জন্য গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে লকডাউন চলছে। যার ফলে রাস্তার কুকুরগুলির খানিকটা সমস্যার মুখে পড়েছে। যে মানুষগুলো এক টুকরো বিস্কুট ছুঁড়ে দিত, তারা এখন আর কাজে আসে না। তার ফলে খাবার জোটে না। কিন্তু না, তাদের জন্য রয়েছেন মিনা। শুধু খেতে দেওয়া নয়, তাদেরকে যত্নে রেখেছেন মিনা। মিনা জানান, তিনি যাদের বাড়িতে রান্না করতে যেতেন তারাও তাকে মাস মাইনে দিয়ে দিয়েছে কারন তারাও জানে মিনার ১৩ টি কুকুরকে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে। মাতৃস্নেহে যত্ন করে চলেছেন এই সারমেয় দলকে।

Advertisement

এমন মানুষ গুলোর জন্যই বোধ হয় পৃথিবীটা এখনো ধ্বংস হয়ে যায়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত দেখাই যায়, অনেকেই এমন আছেন যারা রাস্তার কুকুরের গায়ে পেট্রল ঢেলে দিচ্ছেন, কিংবা বিষ খাইয়ে মারছেন। তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলা, খেতে যদি দিতে না পারেন দেবেন না, কিন্তু এমন ভাবে পশুগুলোকে মারার অধিকার কারুর নেই। পৃথিবীতে মানুষের মত প্রত্যেকটি জীবজন্তুর বাঁচার সমান অধিকার রয়েছে। আজকে মিনার মত অনেক মানুষই আছে যারা নিজেরা দুবেলা-দুমুঠো খাবে কিনা এমন নিশ্চয়তা নেই, কিন্তু নিজের ভাগ থেকেই খেতে দিচ্ছেন এবং যত্নে রেখেছেন এই অবলা প্রাণীগুলোকে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button