ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

বাড়িতে বসে কোন কাজ না করেই প্রতি মাসে কামান ৯০ হাজার টাকা, দারুন অফার নিয়ে এলো SBI

এই দুর্দান্ত অফারটি নিয়ে আসা হয়েছে ভারতের যুবসমাজের জন্যই

Advertisement
Advertisement

এই মুহূর্তে ভারতে চাকরি-বাকরির যা পরিস্থিতি তাতে যুবকদের জন্য চাকরির সুযোগ একেবারেই কম। তারপর যাদের এই মুহূর্তে একেবারেই এক্সপেরিয়েন্স নেই, তাদের জন্য তো এখন চাকরি পাওয়া আরও সমস্যার হয়ে উঠেছে। তাই এই মুহূর্তে ভারতীয় যুবসমাজকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক। এসবিআই এই সমস্ত মানুষদের জন্য নিয়ে এসেছে একটা দারুণ সুযোগ। খুব সহজে এই প্রকল্পের সুবিধা আপনি গ্রহণ করতে পারবেন এবং বাড়িতে বসে মোটা টাকা রোজগার করতে পারবেন। আপনি নিজের বাড়িতে অথবা নিজের জমিতে তৈরি করে নিতে পারেন একটি এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি। এজন্য আপনাকে তেমন একটা কিছু খরচ করতে হবে না কিন্তু তার পরিবর্তে রিটার্ন পাবেন বহুগুণ। এই অফারটি ভারতের প্রত্যেকটি বড় শহরের জন্য উপলব্ধ রয়েছে এবং বেকার যুবকরা অনেকেই এর সুবিধা গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। তবে এর জন্য রয়েছে কিছু শর্ত যা আপনাকে পালন করতে হবে।

Advertisement
Advertisement

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার শর্ত-

Advertisement

১. এসবিআই এটিএম এর ফ্রাঞ্চাইজি নিতে গেলে আপনার কাছে মোটামুটি ৫০ থেকে ৮০ বর্গফুটের মত জায়গা থাকতে হবে।
২. স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অন্য একটি এটিএম থেকে আপনার জমির দূরত্ব কম করে হলেও ১০০ মিটার হতে হবে।
৩. এই জায়গাটির দৃশ্যমানতা ভালো হতে হবে এবং এই জায়গাটা হতে হবে একটি স্পেস গ্রাউন্ড।
৪. এই জায়গায় ২৪ ঘন্টা পাওয়ার সাপ্লাই থাকতে হবে এবং এক কিলোওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কানেকশন থাকতে হবে।
৫. এই এটিএমে প্রতিদিন ৩০০ টি লেনদেনের ক্ষমতা থাকতে হবে।
৬. এটিএমের জায়গায় কংক্রিট নির্মিত ছাদ থাকতে হবে।
৭. সোসাইটি এবং অথরিটির নো অবজেকশন সার্টিফিকেট আপনার কাছে থাকতে হবে।

Advertisement
Advertisement

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
১. আইডি প্রুফের মধ্যে রয়েছে – আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড।
২. অ্যাড্রেস প্রুফ – রেশন কার্ড, ইলেক্ট্রিসিটি বিল
৩. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং পাসবুক
৪. ফটোগ্রাফ, ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর
৫. অন্যান্য কিছু ডকুমেন্টস
৬. জিএসটি নম্বর
৭. ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্ট

এইভাবে করুন আবেদন

এসবিআই এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি প্রদান করা কোম্পানিগুলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনি অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ভারতে এটিএম তৈরি করার কন্ট্রাক্ট মূলত তিনটি কোম্পানির কাছে রয়েছে – টাটা ইন্ডিক্যাশ, মূথুট এটিএম এবং ইন্ডিয়া ওয়ান এটিএম। এর জন্য আপনি যে কোন একটি কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারেন।

কত টাকা রোজগার করতে পারেন?

এই তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবথেকে পুরনো কোম্পানি হল টাটা ইন্ডিক্যাশ। এই কোম্পানির থেকে এটিএম ফ্রাঞ্চাইজি গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ২ লাখ টাকার সিকিউরিটি ডিপোজিট দিতে হবে। এই ডিপোজিট হবে একেবারে রিফান্ডেবল। আপনাকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যাংকিং ক্যাপিটাল হিসেবে জমা করতে হবে। এভাবে আপনার সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল হবে ৫ লক্ষ টাকা। আর এই এটিএম গ্রহণ করলে প্রতিটি ক্যাশ লেনদেন থেকে আপনি পেয়ে যাবেন ৮ টাকা করে ও নন-ক্যাশ লেনদেন থেকে পাবেন ২ টাকা করে। অর্থাৎ সারা বছরে আপনি রিটার্ন পাবেন মোটামুটি আপনার ইনভেস্টমেন্টের ৩৩-৫০ শতাংশের মতো। যদি আপনার এটিএম থেকে প্রতিদিন ২৫০ টি ট্রানজেকশন হয়, যার মধ্যে ৬৫ শতাংশ হয় ক্যাশ লেনদেন তাহলে আপনার প্রতি মাসের রোজগার মোটামুটি ৪৫ হাজার টাকা হবে। অন্যদিকে যদি আপনার এটিএম থেকে প্রতিদিন ৫০০টি করে লেনদেন হয়ে, তাহলে আপনার প্রতি মাসে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় হবে। অর্থাৎ একবার নিবেশ করলেই আপনি পেয়ে যাবেন ব্যাপক রিটার্ন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button