নিউজপলিটিক্সরাজ্য

তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল গঙ্গারামপুর, চলল গোলাগুলি, মৃত্যু হল ২ তৃণমূল কর্মীর

আজ সকালে সাতটা নাগাদ গঙ্গারামপুরে সুকদেবপুরে একটি জমি বিবাদ ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়

Advertisement
Advertisement

যতই বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব কিছু সময় হাতাহাতিতে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সম্পূর্ণ অন্য ঘটনা ঘটলো গঙ্গারামপুরে। জানা গিয়েছে, আজ সকালে সাতটা নাগাদ গঙ্গারামপুরে সুকদেবপুরে একটি জমি বিবাদ ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিণতি নিয়ে সংঘর্ষে। এমনকি সংঘর্ষে গোলাগুলি চলে। আর তাতেই মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল কর্মীর। একজনের মাথায় গুলি লেগে এবং অন্যজন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement
Advertisement

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ গঙ্গারামপুরের সুকদেবপুর জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে। সেই বিবাদ কিছুক্ষণের মধ্যে পরিণতি নেয় সংঘর্ষে। দুই গোষ্ঠীর প্রচুর লোক এসে মারপিট শুরু করে। কিন্তু এখানেই থেমে যায়নি তারা। সেই সংঘর্ষের মাঝে যথেচ্ছ গোলাগুলি চলে। সেই জন্য সঞ্জীত সরকার নামক একটি তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সরাসরি তার মাথায় এসে গুলি লাগে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়। অবশ্য মালদা মেডিকেল কলেজ পৌঁছানোর আগেই পথেই তার মৃত্যু হয়। এই সঞ্জিত সরকার তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাসের অনুগামী বলে পরিচিত।

Advertisement

অন্যদিকে আরেক তৃণমূল কর্মী মারপিট চলাকালীন ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান। তার নাম কালিপদ সরকার। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে তিনি জখম হন এবং অজ্ঞান হয়ে যান। তাকেও চিকিৎসার জন্য গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বা হাসপাতালে পৌঁছাতেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই কালিপদ সরকার জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান বিপ্লব মৈত্রের অনুগামী বলে পরিচিত। সে গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এই ঘটনা নিয়ে অঞ্চলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অঞ্চলে বিশাল পুলিশবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়।

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি গোটা রাজ্যে তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর মাঝে মাঝেই সামনে উঠে আসে। আর দক্ষিণ দিনাজপুরের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিত্যদিনের ঘটনা। এর আগেও পরিস্থিতির কথা জেনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার গোষ্ঠীর নেতাদের বকাঝকা করে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি অতিসম্প্রতি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গারামপুর সভায় গিয়ে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতাদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। যদিওবা তার ফল কিছুই হলো না তার প্রমাণ আজকের ঘটনা।

Advertisement

Related Articles

Back to top button