নিউজপলিটিক্সরাজ্য

পাহাড়ে ফের শুরু গুরুং হাওয়া, পদত্যাগ ১৭ জন বিজেপি কাউন্সিলরের

×
Advertisement

বিগত তিন বছর ধরে বিমল গুরুং পাহাড়ের রাজনীতি থেকে একেবারে সরে গিয়েছিলেন। কিন্তু আবার, দল ভাঙার রাজনীতি শুরু করে পাহাড়ে নিজের অস্তিত্ব বুঝিয়ে দিলেন গুরুং। কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়শী প্রশংসা করে লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন বিমল। পাহাড়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে পারছিলেন না। কিন্তু এইবার, দার্জিলিং পৌরসভার ১৭ জন কাউন্সিলরকে বিজেপি থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাতে নিয়ে এসে আবারও নিজের ‘ কাজ ‘ শুরু করে দিলেন গুরুং।

Advertisements
Advertisement

একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পৌরসভার ১৭ জন বিজেপি কাউন্সিলর সম্প্রতি পদত্যাগ করে চলে গিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তে। এনারা গত ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিমল গুরুং আবার স্বমহিমায় ফিরে আসতেই তারাও বিজেপি ছেড়ে জনমুক্তি মোর্চা তে যোগ দিলেন। এই ঘটনার মাধ্যমে দুটি বার্তা একেবারে স্পষ্ট করে দিলেন গুরুং। প্রথমত, পাহাড়ে তিনি এখনও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাননি। দ্বিতীয়ত, আবারো তিনি পাহাড়ে ফিরতে চান এবং সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদান করতে চান।

Advertisements

এই কাউন্সিলরের কথায়, ” ১৭ বছর ধরে এনডিএ তে ছিলাম। কিন্তু, বিজেপি এখনও একটিও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করবো। বিমল গুরুংয়ের গলায় ছিল ঠিকই একই সুর। কিন্তু সম্প্রতি পাহাড়ে বিমল গুরুং বিরোধী অনেক সভা শুরু হয়েছে। নবান্নে গিয়ে বৈঠক করে এসেছেন বিনয় তামাং। তারা জানিয়েছেন বিমল সম্পূর্ণ ক্লোজড চ্যাপ্টার। তাকে নিয়ে নাকি কোনো আলোচনাই নবান্নের সভায় করা হয়নি।

Advertisements
Advertisement

কিন্তু, এই সভার কিছুদিনের মধ্যেই ১৭ জন কাউন্সিলর কে নিজের দিকে টেনে এনে গুরুং প্রমাণ করে দিলেন, পাহাড়ে তিনি এখনও প্রাসঙ্গিক। বর্তমানে দার্জিলিং পৌরসভার কাউন্সিলর এর সংখ্যা ৩২। কিন্তু সেখান থেকে একসাথে ১৭ জন কাউন্সিলর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তে যোগ দেওয়ায় বর্তমানের দার্জিলিং পৌরসভার পরিস্থিতি অত্যন্ত নড়বড়ে। তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন তারাও তৃণমূলকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই আদিবাসী বিকাশ পরিষদ জানিয়ে দিয়েছে এবারের ভোটে তারা সাপোর্ট করবে শুধুমাত্র তৃণমূলকে। তাই, পরিসংখ্যান বলছে, অমিত শাহের বক্তব্য অনুযায়ী, এবছরের বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ২০০টির বেশি আসন দখল করা হয়তো সম্ভব নয়। তবে, ভবিষ্যতে সব কথাই নির্ভর করছে মানুষের উপর।

Related Articles

Back to top button