অরূপ মাহাত: সাম্প্রতিক কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পাকিস্তান। এ নিয়ে সারা বিশ্ব যখন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে তখন পাকিস্তান আশা করেছিল চিন অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াবে। প্রাথমিক ভাবে চিনও ভারতের কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় খুশি নয়। কিন্তু ভারত এক কড়া বিবৃতিতে জানান, ভারত যেমন অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনদিন মাথা ঘামায়নি, ভারতও চাইবে অন্য কোন দেশ যেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা না ঘামায়। এরপর চিনের দিক থেকে আর কোনরূপ প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের চিন সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চিনের জন্য একটা বার্তা বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। পূর্বনির্ধারিত এই সফরের উদ্দেশ্যে তিন দিনের জন্য আজই চিনের রাজধানী বেজিংএ পৌছেছেন তিনি। ইতিমধ্যে চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কুইশানের সাথে আলোচনা করেছেন তিনি। এই বছরের শেষের দিকে চিনের প্রেসিডেন্ট সি জিনফিংএর ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক সুনিশ্চিত করতেই চিনে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। যদিও বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার রবিবার বলেন, সব ক্ষেত্রে চিন ভারতের অন্যতম বন্ধু৷ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই বিদেশমন্ত্রীর চিন সফর বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে আন্তর্জাতিক মহল এস জয়শঙ্করের এই চিন সফরকে ভারতের একটি কূটনৈতিক চাল হিসেবেই দেখছে। পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত চিনকে নিজেদের দিকে টেনে প্রতিবেশী দেশকে আরও নিঃসঙ্গ করার চেষ্টায় প্রাক্তন কূটনীতিক ও বর্তমান বিদেশমন্ত্রীর এই চিন সফর বলে দারি রাজনৈতিক মহল।