জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার পর চিনের তরফে সমর্থন আদায়ের জন্য পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বেজিং গিয়েছিলেন। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়ার ই-র সঙ্গে দেখা করার পর চিনের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয়। চিনের তরফে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সমস্যা রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক ভাবে এবং ১৯৭২ এর সিমলা চুক্তি অনুযায়ী মিটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে বেরিয়ে আসার সময় থেকেই কাশ্মীর বিতর্কিত বিষয়। পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার বিদেশমন্ত্রক থেকে জারি করা বিবৃতিতে এই কথা বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের মাধ্যমে সঠিকভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধানের উপর জোর দিয়েছে চিন। একপক্ষীয় কোনো সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের পদক্ষেপে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সমর্থন করে যাবে। যদিও চিনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের উভয়েই চিনের বন্ধু রাষ্ট্র।
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস নিয়ে পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে চিন বলেছে, বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হবে।কোনো পক্ষের স্হিতাবস্হা পরিবর্তন করে উত্তাপ বাড়ানো উচিত নয়। চিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, চিন নাকি বলেছে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান আগ্রাসী।চিনকে সঙ্গে করে পাকিস্তান কাশ্মীরিদের আওয়াজ বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায়।বলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী।ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের তিনদিনের চিন সফরের আগে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী চিন সফরে যান।
চিন লাদাখ নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।লাদাখকে ইতিমধ্যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।চিন এর বিরোধিতা করেছে।চিনের দাবি লাদাখ তাদের দেশের অংশ।পাল্টা ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, লাদাখ নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়।পাকিস্তান ইতিমধ্যে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ করেছে।ভারত জোর দিয়ে বলেছে, জম্মু ও কাশ্মীর দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।সেই এলাকা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত তাদের অভ্যন্তরীন বিষয়।