সুরজিৎ দাস : স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতেই আপামর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকে খুশির খবর এনে দিলো লাল হলুদ ব্রিগেড। এদিন যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল এর মুখোমুখি হয়েছিলো বেঙ্গালুরু এফসির বি টিম যার কোচ ছিলেন লালহলুদেরই প্রাক্তনী নৌশাদ মুসা। এদিন শুরুটা ঠিক করে করতে পারে নি ইস্টবেঙ্গল হয়তো প্রতিপক্ষ কে হালকা ভাবে নিয়েছিলো টিম ইস্টবেঙ্গল সেই ঘোর ভাঙ্গলো ১৮ মিনিটে অজয় সিংহের গোলে। বাকি সময়টুকু চেষ্টা করেও আর গোল তুলে আনতে পারে নি ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধ এর শুরুতে চিরন্তন ময়দানি প্রবাদ ‘খোঁচা খাওয়া বাঘ আর পিছিয়ে পরা ইস্টবেঙ্গল একই রকমের ভয়ঙ্কর’ সেটা সত্যি হলো। দ্বিতীয়ার্ধ এ তিনটি পরিবর্তন করেন কোচ আলেহান্দ্রো তারপরেই ঘুরে যায় খেলা একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পরে বেঙ্গালুরু ডিফেন্সে। বৈথাং এর পরিবর্তে নামা বিদ্যাসাগর সিংহ এদিন আবার নিজেকে প্রমাণ করলেন তার পা থেকেই আসলো ৫৯ ও ৭৪ মিনিটের দুটি চোখ ধাঁধানো গোল। এরপরেও ব্রেন্ডন, কোলাডো রা সুযোগ হারালেন নাহলে গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। যাইহোক ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সেমিতে যাওয়া নিশ্চিত করলো ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের সেরা বিদ্যাসাগর সিং ডুরান্ডের যুগ্ম টপ স্কোরার ও হয়ে গেলেন তার নামের পাশে এখন ৫ গোল। ডুরান্ডে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল এর পরের ম্যাচ আগামী ২১ আগস্ট যুবভারতী স্টেডিয়ামে দুপুর ৩ টে প্রতিপক্ষ গ্রুপ ‘ডি’ এর শীর্ষে থাকা গোকুলাম কেরালা এফসি।