বর্তমানে আমাদের হাতে বিনোদনের জন্যে ইন্টারনেট এর মতো প্রযুক্তি আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক ক্লিকেই খুলে যায় আমাদের সামনে অবাধ বিনোদনের জগত। আর এই অবাধ বিনোদনের মধ্যে একটা হলো পর্ণগ্রাফি। কামনা, বাসনা, ফ্যান্টাসির এক অবাধ দুনিয়া খুলে যায় জাস্ট একটা ক্লিকেই। আর বিজ্ঞানীদের একের পর এক সমীক্ষা তে বলছে যে, দিনের পর দিন সারা পৃথিবী জুড়েই বাড়ছে এই পর্ণগ্রাফি দেখার চাহিদা। ছেলে, মেয়ে এমনকি বয়স্কদের মধ্যেও এই পর্ণগ্রাফি দেখার আসক্তি বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন।
তবে এই পর্ণগ্রাফি একটি নির্দিষ্ট পরিমানে দেখাই ভালো। অতিরিক্ত পর্ণগ্রাফি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তবে সারাদিনের স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে একটি নির্দিষ্ট পরিমানে পর্ণ দেখা যেতেই পারে, এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের। কিন্তু তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায়। ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের মতে যারা তুলনায় বেশি পর্ন দেখতে পছন্দ করেন তাদের মধ্যে লিঙ্গ সাম্যতার বিষয়টি বেশি করে কাজ করে। এমনকি যারা পর্ণ বেশি দেখে তারা তাদের মধ্যে যৌন হিংসার বিষয়টি বিষয়টি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম থাকে।
আবার অনেক গবেষক দের মতে যে পুরুষরা ‘হার্ডকোর পর্ন’ দেখতে অভ্যস্ত তাদের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য মূলক আচরণেরও প্রভাব বিস্তার করে। পর্ণ দেখাকে আসলে একটা আসক্তি বলেই চিহ্ণিত করা হয়েছে। তবে পর্ণের আসক্তি কখনোই মাদকাসক্তির মতো গুরুতর বিষয় নয়। পর্ন প্রতিনিয়ত দেখা কাজে প্রভাব ফেলে, ব্যবহারিক আচরণে প্রভাব ফেলে। তবে কতটা দেখা উচিত দিনে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।