সুরজিৎ দাস : সত্যি ময়দানি ফুটবলের ‘ঘরের ছেলের’ তকমার যথার্থ উদাহরণ দেখিয়ে গেলো লাল হলুদের দুই বঙ্গ সন্তান অভ্র মন্ডল ও সৌমিক দে। গতকাল ১৩ আগস্ট লালহলুদের স্পোর্টস ডে উপলক্ষে প্রাক্তনী দের চাঁদেরহাট বসে ছিলো নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। সেখানে মঞ্চে সম্মান জানানো হয় প্রাক্তন ফুটবলারদের লালহলুদের সম্মান নিতে গিয়ে আবেগের বাধ ভাঙ্গলো অভ্র সৌমিকদের। চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না দীর্ঘদিন লালহলুদে খেলে যাওয়া এই দুই ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ও নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না এই দৃশ্য দেখে চোখের জল মুছতে দেখা গেলো তাকেও।
পাশে দাঁড়িয়ে মেহতাব, নবি দের মতো প্রাক্তন ফুটবলার রা তারাও আবেগাপ্লুত এই মূহুর্তে। অভ্র ২০০৫ থেকে ২০১৮ দীর্ঘ ১৩ টা বছর কাটিয়েছেন এই লালহলুদ জার্সি গায়ে মাঝে অবশ্য আইএসএলে যোগ দিলেও সর্বদা থেকে গেছেন ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে হয়ে। অপরদিকে সৌমিক সেই ২০০৬ সালে টালিগঞ্জ থেকে ইস্টবেঙ্গল আসা আর সুদীর্ঘ ১০ টা বছর এই জার্সি গায়ে চাপিয়ে একের পর এক ম্যাচ জেতা স্মৃতি গুলো ভাসছিলো তার চোখের সামনেও।
অপরদিকে মেহতাবের গলায়ও আক্ষেপের সুর শোনা গেলো তিনি বললেন ‘ইস্টবেঙ্গলে দীর্ঘ ফুটবল জীবন টা কাটিয়েছি তাই এই জার্সিতে খেলেই অবসর নেওয়া উচিৎ ছিলো আমার, ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে ভুল করে ফেলেছিলাম’। রহিম নবি বলে গেলেন ‘ইস্টবেঙ্গল আমার কাছে ভগবানের সমান, আরেকবার এই জার্সি গায়ে চাপালে বুঝিয়ে দিতাম ইস্টবেঙ্গল মানে কি’। আসলে এই লাইন গুলোই তো বাঁচিয়ে রাখে বাঙালির ফুটবল আবেগ কে। ভবিষ্যৎ এ লাল-হলুদ জার্সি গায়ে নতুন অনেকে আসবে যাবে কিন্তু ‘ঘরের ছেলে’ হতে পারবে ক’জন সেটা বলা কঠিন।