মাদক চক্রে বলিউডের পর্দা ফাঁস হতেই গর্জে উঠলেন কোন অভিনেত্রী?

Advertisement

Advertisement

বলিউড কুইনের গরম নিঃশ্বাসে কাঁপছে গোটা বলিউড। উঠে আসছে একের পর এক নাম। প্রধানমন্ত্রী দফতরকে ট্যাগ করে তিনি জানান বলিউডের প্রায় বেশীরভাগ শতাংশ অভিনেতা, পরিচালক, নির্দেশক মাদকাসক্ত। সুশান্ত মৃত্যু কেসে, একমাত্র কঙ্গনা রানাউত সরব হয়েছেন। সরাসরি বিভিন্ন অভিনেতা ও পরিচালকদের নাম নিয়ে তোপ দেগেছেন।

Advertisement

তাঁর সাহসী কণ্ঠ ছাপিয়ে গিয়েছে গোটা বলিউডকে। যেখানে কঙ্গনা দাবি করছেন যে বলিউডের অধিকাংশ তাড়কাই কোকেইন নেন এবং যারা প্রথম বলিউডে পা রাখেন তাঁদের এক প্রকার ফ্রিতে মাদক দেওয়া হয়। এছারা বিভিন্ন হাউস পার্টিতে বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। ঠিক এই গল্পে প্রতিবাদ জানালেন অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon)। তবে এর আগে মুখ খোলেন আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি (Mahesh Jethmalani) ।

Advertisement

Advertisement

ঠিক কী বলেছিলেন মহেশ জেঠমালানি? তিনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কার্যত প্রশ্ন রেখেছেন, “এমন একটি বলিউডের এক অভিনেত্রীর গুরুতর অভিযোগের পরেও কেন ইন্ডাস্ট্রির কেউ মুখ খুললেন না। এই মৌনতা থেকে জনসাধারণ কী সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন?” আইনজীবীর এই প্রশ্নকে হাতে রেখে মুখ খুললেন অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। এবারে, মহেশ জেঠমালানির ট্যুইটের জবাবে রবিনা লেখেন, ‘সারা বিশ্বে ৯৯ শতাংশ বিচারক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, সরকারি আধিকারিক, পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত। এই বক্তব্য সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সাধারণ মানুষ যথেষ্ট বোধবুদ্ধি সম্পন্ন। তাঁরা ভালো-মন্দের মধ্যে ফারাক করতে পারেন। কয়েকটা পচা আপেলের জন্যে বাক্সের সব আপেলকে খারাপ বলা যায় না। ঠিক তেমনই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেও ভালো এবং খারাপ দু’রকমই মানুষ আছেন।’

কথায় আছে, যখন এক শিয়াল ডাকে তখন বাকিরাও ডাকে, এক্ষেত্রেও কিছুটা এই রকমই। চিত্র পরিচালক রাম গোপাল বর্মাও মহেশ জেঠমালানির ট্যুইটের উত্তরে জানিয়েছেন, “যদিও আমি নিজে বলিউডের অংশ, তবুও আপনার মতোই আমিও স্তম্ভিত। শুধু এক্ষেত্রেই নয়, বলিউডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ধর্ষক, খুনি, মাফিয়া পর্যন্ত বলা হচ্ছে। তাও সবাই চুপ!”