অফবিটমাইথোলজি

পুরীর মন্দির তো অনেকেই গেছেন, জানেন কি এর রহস্য?

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : চার ধাম এর মধ্যে পুরীর জগন্নাথ মন্দির অবশ্যই অন্যতম। পুরীতে গিয়ে শুধুই সমুদ্র স্নান করেছেন, আর জগন্নাথ দেবের মন্দির দর্শন করেননি, এমন মানুষ বোধহয় পাওয়া যায় না। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে যা কিন্তু যথেষ্ট রহস্যে মোড়া, আপনি হয়তো এগুলো বিশ্বাস করতে পারবেন না। কিন্তু এগুলো বাস্তব ঘটনা।

Advertisement
Advertisement

১) মন্দিরের চূড়ায় যে পতাকাটি লাগানো আছে সেটি সব সময় হওয়ার বিপরীতে ওড়ে। এর কারণ কিন্তু জানা যায় না কিন্তু এই অদ্ভূত ঘটনাটি ঘটে থাকে।

Advertisement

২) পুরীর যে কোন জায়গা থেকেই আপনি যদি মন্দিরের চূড়ার দিকে তাকান তাহলে সুদর্শন চক্র আপনার দিকে সম্মুখীন হয়ে থাকবে। শুনলে অবাস্তব মনে হলেও ঘটনাটি কিন্তু একেবারে সত্যি।

Advertisement
Advertisement

৩) মন্দিরের উপর দিয়ে কোন বিমান বা পাখি উড়ে যেতে পারেনা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিষয়টি একেবারে সত্যি।

৪) এখানকার সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বৈশিষ্ট্যটি হল প্রসাদ। সারাবছর ধরে সমপরিমাণ প্রসাদ রান্না করা হয়, কিন্তু একই পরিমাণ প্রসাদ দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ হোক বা কয়েক লক্ষ মানুষকে খাওয়ানো হোক তবু প্রসাদ কখনো নষ্ট হয় না বা কখনো কম পড়ে না।

৫) রান্নার পদ্ধতিতেও বেশ রহস্য আছে, মন্দিরের হেঁশেলে একটি পাত্রের উপর আরেকটি পাত্র এমন করে মোট সাতটি পাত্র আগুনের উপর বসে রান্না করা হয়। এই পদ্ধতিতে যেটি সবচেয়ে উপরে বসানো হয় থাকে, তার রান্না সবার আগে হয়। আর তার নিচেরগুলো তারপর এই ভাবেই হতে থাকে। এভাবে করতে করতে সবচেয়ে দেরিতে সবচেয়ে নিচের পাত্রে রান্না হয়।

৬) মন্দিরের ভিতরে সিংহদ্বারে মন্দিরে প্রবেশ করার পর প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের আওয়াজ আর শুনতে পাবেন না। কিন্তু আপনি যেই সিঁড়ি টপকে যাবেন, তারপর আবার সমুদ্রের আওয়াজ শুনতে পাবেন। অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি কিন্তু ঘটে। সন্ধ্যাবেলায় এই বিষয়টি আরও বেশি করে পরিলক্ষিত করা যায়।

৭) এই মন্দিরের বিগ্রহ কোনরকম পাথর বা ধাতু দিয়ে তৈরি না কাঠ দিয়ে তৈরি। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা কে কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। প্রতি বছর পরপর একটি গোপন রেখে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা কে নতুন শরীর দেওয়া হয়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button