ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Pension Scheme: ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সী পেনশনভোগীদের এই তারিখের মধ্যে এই কাজটা করতে হবে, অন্যথায় পেনশন আসবে না

আপনি যদি সরকার দ্বারা পরিচালিত পেনশন প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান তাহলে এই খবরটা অবশ্যই আপনার জন্য

Advertisement

Advertisement

যারা এই মুহূর্তে সরকারের থেকে পেনশন পাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে একটি বিরাট গুরুত্বপূর্ণ খবর। আপনারা যদি সময় মত আপনার পেনশন পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৩০ শে নভেম্বরে রাগে একটা কাজ শেষ করতে হবে। যদি আপনি এই কাজটা না শেষ করেন তাহলে এরপরে কিন্তু আপনার পেনশন আসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ৬০ বছর থেকে ৮০ বছরের মধ্যে প্রতিটি পেনশনভোগীকে এক নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের জীবনসংসাপত্র জমা দিতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। এটা হল আদতে আপনার বেঁচে থাকার প্রমাণ। ৮০ বছর বয়সের একজন সুপার সিনিয়ার পেনশন ভোগীকে এক অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অবশ্যই কিন্তু নিজের বেঁচে থাকার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

Advertisement

আপনি যদি ৩০ শে নভেম্বরের মধ্যে আপনার জীবন শংসাপত্র জমা না করেন তাহলে আপনার পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। এরপর কিন্তু আপনি আর কোনভাবেই পেনশন পাবেন না। আপনি যদি ৩১ শে অক্টোবর এর আগে নিজের পেনশন শংসাপত্র জমা দিয়ে দেন তাহলে আপনার পেনশন ঠিকঠাক ভাবে চলবে। নতুবা নভেম্বর মাসের জন্য পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement

দেশের পেনশনভোগীরা পাঁচটি উপায়ে নিজের জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারেন। প্রথমটি হল জীবন-প্রমাণ পোর্টালের মাধ্যমে করতে পারেন এই কাজটা। এছাড়াও ব্যাংকে গিয়ে আপনি নিজের জীবন প্রমাণপত্র জমা দিতে পারেন। এছাড়াও পোস্ট অফিস পেমেন্ট ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে, মনোনীত অফিসারের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এবং ডোর স্টেপ ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই কাজটা আপনি করতে পারেন। ৩০ শে নভেম্বর পর্যন্ত দেশ ব্যাপী ১০০ টি শহরে ৫০০ টি জায়গায় এই প্রচার চালানো হচ্ছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক, মন্ত্রনালয়, ইউআইডিএআই এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আপনি তাদের সাহায্য নিয়েও কিন্তু এই কাজটা করতে পারেন।

Advertisement

বাড়িতে বসে কিভাবে প্রমাণপত্র জমা দেবেন?

১. এর জন্য আপনার প্রথমে একটি এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন লাগবে যেখানে ৫ মেগাপিক্সেলের বেশি ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। এখানে আপনাকে আধার ফেস আরডি অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে এবং ইনস্টল করতে হবে।

২. এরপরে আপনাকে আপনার আধার নম্বর দিয়ে login করতে হবে এবং তারপরে অপারেটর প্রমাণিকরণ অপশনে গিয়ে আপনার ফেস স্ক্যান করতে হবে।

৩. এরপরে আপনার বিবরণ লিখে ফোনের সামনের ক্যামেরা দিয়ে নিজের একটা ছবি তুলতে হবে এবং শেয়ার করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার লাইফ সার্টিফিকেট ডাউনলোড হয়ে যাবে। এরপর আপনি এস এম এসের মাধ্যমে এই লাইফ সার্টিফিকেট ডাউনলোড এবং শেয়ার করতে পারবেন।

এছাড়াও যদি আপনি ডোর স্টেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই কাজটা করতে চান তাহলে সেটাও আপনি করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে কিন্তু প্রথমে জীবন প্রমাণ কেন্দ্র বা আপনার ব্যাংকে গিয়ে ডোর স্টেপ ব্যাংকিং এর জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে আপনার ব্যাংকের অপারেটর আপনার বাড়িতে এসে বায়োমেট্রিক ডিভাইস দিয়ে আপনার আইডি যাচাই করবেন। এরপর প্রমাণিকরণ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে।

Recent Posts