1870 সালে 19 অক্টোবর মাতঙ্গিনী হাজরা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মেদিনীপুরের তমলুক থেকে অদূরে হোগলা নামে একটি ছোট গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে তার জন্ম হয়। অতি অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়ে যায়, তিনি মাত্র 18 বছর বয়সে নিঃসন্তান অবস্থায় বিধবা হয়েছিলেন।
1905 সালে প্রত্যক্ষভাবে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মাতঙ্গিনী হাজরা মতাদর্শগত ভাবে তিনি ছিলেন একজন গান্ধীবাদী। তাইতো গান্ধী বুড়ি নামে ডাকা হয়। 1932 সালে মাতঙ্গিনী আইন অমান্য আন্দোলনে যোগদান করেন গ্রেফতার বরণ করেছিলেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস সদস্যরা মেদিনীপুর জেলার সকল থানা ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল জেলা থেকে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদ করে এখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। প্রথম মহিলা স্বেচ্ছাসেবক ছয় হাজার সমর্থক তমলুক থানা দখলের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করেন। এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন 73 বছর বয়সী মাতঙ্গিনী হাজরা। মিছিলে বারংবার তার গায়ে গুলি লাগে, তার কপালে ও দুই হাতে। তবু তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন। এরপর তার ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়।
কংগ্রেসের পতাকা মুঠোর মধ্যে শক্ত করে ধরে বন্দেমাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করতে করতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 1947 সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে অসংখ্য স্কুল, পাড়া ও রাস্তার নাম মাতঙ্গিনী হাজরার নামে উৎসর্গ করা হয়। স্বাধীন ভারতে কলকাতা শহরে প্রথম যে নারী মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল, সেটি হলো মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি। 2002 সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন ও তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের 60 বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের ডাক বিভাগ মাতঙ্গিনী হাজরার ছবি দেওয়া 5 টাকার পোস্টাল চালু করে।
Written by – শ্রেয়া চ্যাটার্জী