আজকাল স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে। তাই বহু মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কাজ করছেন। বর্তমান সময়ে স্থূলতা বেশিরভাগ মানুষেরই সমস্যা, তাই এই স্থূলতা কাটিয়ে উঠতে এবং ওজন কমাতে মানুষ জিমে যোগ দিচ্ছেন। এ ছাড়া অনেকেই নিজেকে ফিট রাখতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে জিমে যোগ দেন, তাই জিম খোলার পরিকল্পনা একটি ভালো ও লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। আপনি আপনার বাড়ির আশেপাশের অঞ্চলে একটি জিম সেন্টার খুলতে পারেন, যার জন্য আপনাকে উচ্চ প্রযুক্তির অনুশীলন মেশিন কিনতে হবে এবং কিছু পেশাদার প্রশিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
একটি জিম খোলার জন্য আপনাকে প্রথমে সঠিক জায়গাটি বেছে নিতে হবে। সেই জায়গাটি এত বড় হওয়া উচিত যে এতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ টি মেশিন সহজেই বসানো যেতে পারে। জিমের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য আপনি অন্যান্য পণ্য যেমন এনার্জি ড্রিংকস, বডি বিল্ডিং পানীয় এবং ব্যায়ামের পোশাক ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি জিম খোলার খরচের কথা বলেন তবে আপনাকে সরঞ্জাম এবং ঘর ভাড়া ইত্যাদিতে আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে এবং প্রশিক্ষককে মাসিক বেতন দিতে হবে। অর্থাৎ মোট আপনাকে তিন লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
তবে সরঞ্জামের জন্য বিনিয়োগ কেবল একবারই করতে হবে। এবার আসা যাক লাভের কথায়। যদি প্রতিদিন ১০০ জন লোক আপনার জিমে আসেন তবে আপনি সহজেই মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ একবার আপনার ব্যবসা সঠিকভাবে চকু হয়ে গেলে আপনার উপার্জন অনেক বেশি হবে।