‘কল্পনা করেই গোটা ছবিটা করে ফেললাম’ : কোয়েল মল্লিক

Advertisement

Advertisement

কেরিয়ারের শুরুটাই হয়েছিল ছদ্মনাম দিয়ে। রুক্মিণী নয়, এক ডাকে সকলের পছন্দের তিনি কোয়েল। অনেকের মতে তিনি টলিউডের কুইন। চলতি বছরে বেশ কয়েকটি রিল লাইফ চরিত্র নিয়ে ক্যামেরার সামনে সংলাপ বলেছেন অভিনেত্রী, যার মধ্যে বেশ কিছু ছবি মুক্তি পাবে ২০২০ তে। তবে এবছর মুক্তি প্রাপ্ত তার চরিত্র গুলি (পূজারিণী ও প্রজ্ঞাপারমিতা মুখার্জি ওরফে মিতিন মাসি) বেশ ভালোবাসা পেয়েছিল, বলা ভালো এখনও ভালোবাসা পাচ্ছে দর্শকদের কাছে থেকে। সম্প্রতি সফল ৬১ দিন উজ্জাপন করেছে টিম ‘মিতিনমাসি’

Advertisement

Advertisement

আর এইবার, ৬ই ডিসেম্বর মুক্তি পেল তাঁর ২০১৯-এর শেষ রিলিজ “সাগরদ্বীপে যকেরধন”।ছবি নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে যা যা বললেন কোয়েল….

Advertisement

প্রথমবার অ্যাডভেঞ্চার ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

কোয়েল : এই ছবিতে কাজ করাটাই একটা আস্ত অ্যাডভেঞ্চার। ক্রোমাতে কম বেশি কাজ করেছি আগেও, তবে এই ছবিতে প্রায় চারিদিকটাই ছিল সবুজ। পরিচালকের কথা শুনে জাস্ট এক্সপ্রেশন দিয়ে গেছি। আর আমার ভরসা ছিল পরমব্রতও। রীতিমতো ওর এক্সপ্রেশন দেখে বুঝতাম কোথায় বড় ঢেউয়ের কবলে পড়ছে রুবি, আর কোথায় রয়েছে সিঁড়ি।

ক্রোমার পাশাপাশি রিয়্যাল লোকেশনেও তো শ্যুটিং হয়েছে, কেমন ছিল জার্নি?

কোয়েল : থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় যখন শ্যুটিং হতো, টিম থেকে আমাদের সি সিকনেস যাতে না হয়, তার জন্য ওষুধ দিয়ে দিত। তবে এক এক সময় বটে বসে মাঝ সমুদ্রে এডলিনাকে জড়িয়ে আমি কম ভয় পাইনি। মনে হতো এই বুঝি গেলাম জলে পরে। তবে হ্যাঁ পরিচালক সায়ন্তন থেকে আমি যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি সকলে এতটাই কো-অপারেটিভ ছিলেন যে কাজ টা করতে কষ্ট হয়নি।

এই ছবিতে অভিনয় করার কারণ? কতটা স্পেশ্যাল “সাগরদ্বীপে যকের ধন” আপনার কাছে?

কোয়েল : যকের ধন আমি দেখেছিলাম, আর সেটা দারুন হিট হয়েছিল সে সময়। আমারও বেশ ভালো লেগেছিলো বিষয়টা। তারপর ১দিন স্ক্রিপ্ট তা শুনলাম এবং আমার তখন মনে হয়েছিল এই ছবিটা শীতকালের রিলিজের জন্য পারফেক্ট। আর অদ্ভুত ভাবে দ্যাখো তাই -ই হলো। সবটা যেন সাজানো। আর বড়দিন মানেই চারিদিকে সেলিব্রেশনের আমেজ, পাশাপাশি এই ছবিতে অ্যাডভেঞ্চার যেমন ভাবে রয়েছে তাতে ছোটদের জন্যও এই ছবি পারফেক্ট। তাই আমি চাইবো হলে গিয়ে ৮-৮০ সকলেই উপভোগ করতে পারবেন এই ছবি।

Recent Posts