‘দিনে মেয়ে সারা রাত বিছানায়…’, মহেশ ভাটের অন্ধকার কাজগুলো ফাঁস করলেন অভিনেত্রী

Advertisement

Advertisement

মহেশ ভাট বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নামজাদা একজন পরিচালক। একের পর এক হিট ছবি সিনেমাপ্রেমীদের উপহার দিয়ে গিয়েছেন তিনি। শুরুর সময় থেকে একাধিক বলি ডিভাদের সাথে নাম জড়িয়েছে পরিচালকের। তবে প্রতিবারই সেইসমস্ত বিষয়কে গুজব হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় এক পাকিস্তানি অভিনেত্রীর সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে, যার সূত্র ধরে পরিচালকের আসল রূপ সামনে এসেছে সকলের।

Advertisement

মীরা নামের এক পাকিস্তানি অভিনেত্রীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে সবটা। তার আসল নাম ইরতিজা রুবাব। ২০০৫ সালে নজর ছবি দিয়ে দর্শকদের মাঝে পরিচিত হয়েছিলেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছিলেন মহেশ ভাটের স্ত্রী সোনি রাজদান। মীরার কথা থেকেই জানা গিয়েছে, ছবিটি একটি সাহসী অভিনীত্রীর জীবনের উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছিল। দর্শকদের মাঝে সেই ছবি খুব একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। তবে অভিনেত্রীকে পছন্দ হয়েছিল অনেকেরই। তবে সেইসময় থেকেই মীরা যাতে অন্য কোন পরিচালকের সাথে কোন কাজ না করেন, তার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন মহেশ ভাট। একথা অবশ্য অভিনেত্রীর কাছ থেকেই জানা গিয়েছে।

Advertisement

ভাইরাল হওয়ার সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর কথা থেকেই জানা গিয়েছে, একবার অভিনেত্রী বলিউডের অন্যতম নামজাদা পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের কাছ থেকে ছবির অফার পেয়েছিলেন। সেইসময় সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। সেই অফার গ্রহণ করে ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মীরা। তবে এরপর সেটে গিয়ে রীতিমতো অভিনেত্রীর উপর অত্যাচার করা হয়েছিল বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। সম্ভবত শেষপর্যন্ত সেই ছবিতে আর অভিনয় করা হয়নি মীরার।

Advertisement

অভিনেত্রী এও বলেন, দিনের পর দিন রাতের পর রাত তাকে শোষণ করেছেন মহেশ ভাট। তাকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে গিয়েছেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সে বলিউডে অভিনেত্রী হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তিনি। আর সেইসময় মহেশ ভাট তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে তার বদলে তিনি তাকে যে পুরোপুরি শোষণ করে নিয়েছিলেন সেকথা অভিনেত্রী নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। এমনকি তিনি তাকে ভালবাসেন, একথাও একাধিকবার বলেছেন পরিচালক। মীরার কথায় অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি দিনের পর দিন শোষণও হয়ে গিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তার সেই সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরেই পরিচালকের আসল রূপ সামনে এসেছে, যা শুনে হকচকিয়ে গিয়েছেন অধিকাংশ নেটমহল। তবে মীরার কথাগুলির ঠিক কতটা সত্যতা রয়েছে! তা অবশ্য যাচাই করে দেখা হয়নি।