Bappi Lahiri: `আমি ভালো আছি` কন্ঠস্বর হারানোর ভুয়ো খবর উড়িয়ে নতুন গান গাইবেন সঙ্গীত পরিচালক

Advertisement

Advertisement

আশির দশকের বলিউডে উল্কা গতিতে উত্থান হয়েছিল বঙ্গ সন্তান বাপি লাহীড়ির। একের পর এক হিন্দি ছবিতে হিট গান উপহার দিয়েছেন। এমনকি বহু গানকে কম্পোজ করা সুর থেকে তাঁর গানে বুঁদ হয়েছিল সারা ভারতবাসী। এমনকি কয়েক বছর কয়েক আগে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘গুন্ডে’র মতো হিড় ছবিতে গাওয়া তাঁর গানে নেচে উঠেছিল আট থেকে আশি। সম্প্রতি বলিউডে গুঞ্জন শুরু হয় কণ্ঠস্বর বর্ষীয়ান সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী নাকি গলার স্বর হারিয়েছেন। এমনি খবরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বলিউড আর টলিউড ইন্ডাস্ট্রি।

Advertisement

শোনা যায় করোনা সংক্রামিত হওয়ার পর থেকেই নাকি তাঁর গলার স্বর হারিয়ে গিয়েছে। গান গাওয়া তো দূর, নিজের পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলারও ক্ষমতা নেই এখন তাঁর। এবার এই গুঞ্জন নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী নিজে। এবার বঙ্গ সন্তান বাপ্পি নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ‍্যান্ডেলে একটি বিবৃতি শেয়ার করে
তিনি জানান, তাঁর কন্ঠস্বর নিয়ে যা খবর হয়েছে তা নাকি সম্পূর্ণ ভুয়ো।

Advertisement

তিনি লেখেন, ‘আমি খুবই হতাশ এটা দেখে যে কিছু সংবাদ মাধ‍্যম আমার স্বাস্থ‍্য নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। আমার অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীদের আশীর্বাদে আমি ভাল আছি’, এই বিবৃতিতে নিজের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে এই কথা লেখেন বাপ্পি লাহিড়ী। নিজের বাবার কণ্ঠস্বর হারানোর গুঞ্জন আগেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর নিজের ছেলে বাপ্পা। তিনি এক সংবাদমাধ্যমে জানান, “যেই খবরটা সবাই জানে সেটা একদমই ঠিক নয়। আসলে চিকিৎসকের পরামর্শেই তাঁর বাবা কথা বলা বন্ধ করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, দূর্গাপুজোর আগেই তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবেন। তিনি আরো জানান, আসন্ন দুর্গাপুজোর সময় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে একটি গানের রেকর্ডিংও করার আছে বাপ্পি লাহিড়ীর।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসের শেষে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান গায়ক বাপ্পি লাহিড়ী। মুম্বই এর ব্রিচ ক‍্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। নিজের বাবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেতেই সাথে সাথে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে মুম্বাই এসেছিলেন ছেলে বাপ্পা। তারপর আর ফেরত যাননি। বাবার দেখভাল করতে এখানেই থেকে গিয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ফুসফুসে সংক্রমণ হয় বাপ্পি লাহিড়ীর। তার জেরেই সুস্থ হতে এত সময় লাগছে তাঁর। তবে তিনি নিজের কন্ঠস্বর হারাননি।