Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

জল্পনার অবসান করে গেরুয়াতে টলিউড অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, সাথে বিজেপি যোগ একঝাঁক তারকার

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) ও মুকুল রায়ের (Mukul Roy) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে যশ দাশগুপ্ত (Yash Dasgupta) বিজেপি শিবিরে যোগদান করেছেন

×
Advertisement

একুশে নির্বাচন একদম দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত। এই মুহূর্তে টলিউডে লেগেছে রাজনীতির রং। টলিউড সম্পূর্ণ দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। একজন গিয়ে যেমন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছে ঠিক অন্যদিকে আরেকদল অভিনেতা-অভিনেত্রী ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করছে। তবে আজ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন নুসরাত ঘনিষ্ঠ অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। সে আজ অর্থাৎ বুধবার বিকেলে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়ের হাত থেকে বিজেপি পতাকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করে। অবশ্য সে একা আজ যোগদান করেনি। তার সাথে টলিউডের একঝাঁক তারকা যেমন পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস, শর্মিলা ভট্টাচার্য সহ একাধিক অভিনেত্রী বিজেপিতে যোগদান করেন।

Advertisements
Advertisement

একুশে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই টলিউডে রাজনীতির রং গাঢ় হচ্ছে। কিছুদিন আগে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখেছিলেন টলিউডের চেনা মুখ কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, রনিতা দাস, সৌপ্তিক চক্রবর্তী প্রমুখরা। আবার অন্যদিকে টলিউড অভিনেত্রী রুদ্রনীল ঘোষ তৃণমূল ছেড়ে দলবদলে স্রোতে ভেসে বিজেপিতে যোগদান করেছে। এরইমধ্যে বিজেপিতে যোগদান করে যশ দাশগুপ্ত বলেছেন, “রাজনীতি মানেই খারাপ কিছু নয়। আমার মনে হয় পরিবর্তন শুধু চাইলেই হয় না বা মুখে পরিবর্তন বললেই হয় না। বৃহত্তর স্বার্থে মাঠে নেমে কাজ করতে হয়। আমি কোন পদের কথা ভেবে বিজেপিতে যোগদান করিনি। বিজেপির সঙ্গে আমার আদর্শ মেলে। তাই আমি দলের হয়ে প্রাণ খুলে কাজ করতে চাই। যুব সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবো বলে আশা রাখি।”

Advertisements

বাংলা টেলিভিশনের খ্যাতনামা অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল তার “বোঝেনা সে বোঝেনা” ধারাবাহিক এর মাধ্যমে। তারপর থেকে একের পর এক সিনেমাতে তাকে দেখা গিয়েছে। টলিউডে তার ডেবিউ সিনেমা ছিল বির্সা দাসগুপ্ত পরিচালিত “গ্যাংস্টার”। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই টলিপাড়ায় গুঞ্জন উঠেছিল নুসরাতের সাথে যশের সম্পর্ক নিয়ে। যদিও জল্পনা কোনো ভিত্তিপ্রস্তর নেই বলে দাবি করেছিলেন নুসরত। তবে দুজনের মধ্যে যে গভীর বন্ধুত্ব আছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এবার তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে আদেও আগের মতো বন্ধুত্ব থাকে নাকি, সেটাই দেখার।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button