ভারতীয় বাজারে সম্প্রতি লঞ্চ হয়েছে ইয়ামাহা R15 V4। এটি একটি ১৫৫cc স্পোর্টি বাইক যা তার স্ট্যান্ডার্ড ফিচার এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য পরিচিত। যারা একটি ঝকঝকে স্পোর্টস বাইক খুঁজছেন তাদের জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। আজকে আমরা এই বাইকের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারে কথা বলবো। আর জেনে নেবো, এই বাইকটি কাদের জন্য ভালো হবে আর কারা এই বাইক কিনলে সুবিধা পাবেন।
প্রথমে এই বাইকের ফিচারের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। ইয়ামাহা R15 V4-এ বেশ কিছু এমন স্ট্যান্ডার্ড ফিচার রয়েছে যা এটিকে একটি দুরন্ত স্পোর্টস বাইক করে তোলে। এর মধ্যে আছে, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস যা বাইকের নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, বাই-ফাংশনাল এলইডি (ক্লাস ডি) হেডলাইট যা রাতের বেলা ভালো আলো দেয়।, এছাড়াও আছে, এলইডি পজিশন লাইট যা বাইকের সঠিক অবস্থান বোঝায়। আছে, এলইডি টেললাইট, যা বাইকের পিছনের গাড়ি চালকদের সতর্ক করে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়াও এই বাইকে আপনারা দেখছেন VVVA ইন্ডিকেটর, যা ইঞ্জিন সিস্টেমের কার্যকারিতা দেখায়। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে ডিজিটাল ট্যাকোমিটার এবং ফুয়েল মিটার রয়েছে। এই বাইকে ব্যবহার হয়েছে ওয়াই-কানেক্ট ফিচারটি যা একটি স্মার্টফোন ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি যার মাধ্যমে স্মার্টফোন দিয়ে বাইকের বিভিন্ন ফিচার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই বাইকে রয়েছে ডুয়েল হর্ন ফিচারটি, যার মাধ্যমে হর্ণের শব্দ অনেক দুর অবধি চলে যেতে পারে। গিয়ারবক্স পজিশন ইন্ডিকেটর রয়েছে যা গিয়ারে বাইক চলছে তা দেখায়। কুইক শিফটার ফিচার রয়েছে গিয়ার শিফটের সমস্যা দূর করার জন্য। আর যেহেতু এটা একটা স্পোর্টস বাইক তাই আছে ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম যা বাইকের পিছনের চাকা স্লিপ করা থেকে রক্ষা করে।
ফিচারের ব্যাপারে বলতে গেলে, ইয়ামাহা R15 V4-এ একটি শক্তিশালী ১৫৫cc, ৪-স্ট্রোক, ৪ ভালভ, লিকুইড-কুলড, SOHC ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিনটি ১০,০০০ rpm এ ১৮.৪ PS সর্বোচ্চ শক্তি এবং ৭,৫০০ rpm এ ১৪.২ Nm সর্বোচ্চ টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। এটি ৬-স্পিড ট্রান্সমিশনের সাথে সংযুক্ত। ইয়ামাহা R15 V4 এর পারফরম্যান্স বেশ ভালো। এটি শহর এবং হাইওয়ে উভয় ক্ষেত্রেই ভালোভাবে কাজ করে। এটি দ্রুত গতি অর্জন করতে পারে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ।
ইয়ামাহা R15 V4-এর দাম শুরু হয় ১.৮১ লক্ষ থেকে এবং এই দাম ১.৮৬ লক্ষ পর্যন্ত যায়। এর প্রতিদ্বন্দ্বীরা হল কেটিএম RC 125, কেটিএম RC 200 এবং বাজাজের পালসার RS200।