Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

ডায়েরি লিখে বিশ্ব বিখ্যাত

শ্রেয়া চ্যাটার্জি - করোনা ভাইরাস এর জন্য আমাদের কার্যত প্রত্যেককেই গৃহবন্দী দশা কাটাতে হচ্ছে। যা সত্যি সকলের জন্যই মন খারাপের বিষয়। কতদিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সিনেমা দেখা কিংবা একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস এর জন্য আমাদের কার্যত প্রত্যেককেই গৃহবন্দী দশা কাটাতে হচ্ছে। যা সত্যি সকলের জন্যই মন খারাপের বিষয়। কতদিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সিনেমা দেখা কিংবা একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়া হয়নি। তবে সময় কাটানোর জন্য এখন মানুষের হাতে রয়েছে মুঠোফোন। মুঠোর মধ্যে ফোন রেখে গোটা জগতে একবার ঢুঁ মেরে নেওয়া যায়। কিন্তু যখন মুঠোফোন ছিলনা, তখন মানুষের সময় কাটানোর আরেকটি পদ্ধতি জানা ছিল তাহল, ডায়রি লেখা। গৃহবন্দী দশা তে ডায়েরি লিখে বিশ্ব বিখ্যাত হয়েছিলেন এক ছোট মেয়ে। করোনার জন্য বাড়িতে থাকতে থাকতে যাদের মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তারা যদি এই ঘটনাটিতে একবার চোখ বুলিয়ে নেন, মানসিকভাবে অনেকটা মনের জোর পাবেন একথা নিশ্চিত করে বলা যায়।

এবার আসা যাক, আসল কাহিনীতে। দীর্ঘ ৭৬১ দিন মানে দু বছরের একটু বেশি সময়, গৃহবন্দি অবস্থায় কাটিয়েছিলেন এক ইহুদি মেয়ে অ্যানা ফ্রাঙ্ক। সময় কাটানোর অস্ত্র হিসাবে তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন তার ডায়রি এবং একটি কলম। এখন যারা বাড়ির বারান্দা এবং ছাদে বা উঠানে একটু ঘুরপাক করতে মন খারাপ লাগছে তারা একবার শুনুন, এই মেয়েটি যেখানে তার সময় কাটিয়ে ছিল, সেই জায়গাটির আয়তন ছিল মাত্র ৪৫০ বর্গফুট। তবে এইটুকু জায়গাতে শুধু সে একা ছিল না, সঙ্গে ছিল আরো ৭ জন। কি এখন ভাবছেন তো এর থেকে আপনার বড় ছাদ, বারান্দা এবং উঠোন অনেক ভালো জায়গা? তার জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ ই জুন, জাতিতে সে ছিল ইহুদি। ১৯৩৩ সালে তারা সপরিবারে আমস্টার্ডামে উঠে আসেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

নাৎসি বাহিনীর দ্বারা যথেচ্ছ পরিমানে ইহুদি হত্যা করা হয়েছিল ১৯৪২। বাইরে চলছে এমন হত্যালীলা, অগত্যা এই মেয়েটির পিতা অটো ফ্রাংক, চিলেকোঠার একটি ছোট্ট ঘরে আশ্রয় নিতে শুরু করেন সপরিবারে। ছোট্ট মেয়েটি নিজের একটা একটা করে অতিবাহিত দিনের ঘটনা লিখে রাখতে শুরু করে ডায়রির পাতায়। এইভাবে কাটে বছর দুই। ১৯৪৪ সালে নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তারা সপরিবারে। তাদেরকে রাখা হয়, বার্গেন- বেলজন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। সেইখানেই ১৯৪৫ সালে টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যানা ফ্রাঙ্ক এবং তার বোন মার্গো ফ্রাঙ্ক মারা যান। বেঁচে ছিলেন একমাত্র তার বাবা। খুঁজে বার করেন, মেয়ের লেখা সেই ডায়রি। তার উদ্যোগেই প্রথমে এই ডায়রিটি প্রকাশিত হয় ওলন্দাজ ভাষায়। পরে এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়। বইটির নামকরণ করা হয় ‘দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়ং গার্ল’। ১২ই জুন ১৯৪২ – ১ আগস্ট ১৯৪৪ এই দিনগুলোর বীভৎসতার ঘটনা বর্ণিত আছে বইটির মধ্যে।

About Author