নিউজপলিটিক্সরাজ্য

সম্ভাবত বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী

নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মমতাকে পরাজিত করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী

Advertisement
Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে সবাই আশা করেছিল যে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটলো। তৃণমূল কংগ্রেস ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১৩ আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছে। আজ বঙ্গবাসীর রায়ে ফের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির মধ্যে থেকে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারী মমতার সাথে টক্কর টক্করে লড়াই করেছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মমতাকে হারিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দুর গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে।

Advertisement
Advertisement

বিজেপি দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা পদে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এমনকি ইতিমধ্যে হয়তো শুভেন্দুর নামে পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে এই নাম ঘোষণা হওয়ার কথা আছে। আসলে শুভেন্দু বিচক্ষণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম সঞ্চালক ছিল। তারপর নন্দীগ্রামের দীর্ঘদিন তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মমতার সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার করে জিতে গেছেন তিনি। এখন গেরুয়া শিবির মমতার প্রতিপক্ষ হিসেবে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীকে ভাবতে পারে। এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ মমতার মুখ্যমন্ত্রী শপথগ্রহণের পর শুভেন্দু অধিকারী তার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভোটে হেরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলেন। এর আগে বাংলায় কখনো এরকম হয়নি। মমতা তার ২১৩ জন বিধায়ক এর মধ্যে কাউকে খুঁজে পেল না যাকে মুখ্যমন্ত্রী করা যায়। এর জন্যই আমি তৃণমূলকে লিমিটেড কোম্পানি বলি।’

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button