Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বারবার আগুনের লেলিহান শিখার শিকার হতে হচ্ছে তিলোত্তমাকে, কিন্তু কেন?

কলকাতা: ফের একটা অগ্নিকাণ্ড। ফের একবার উঠল একগুচ্ছ প্রশ্ন।  সেইসঙ্গে দেখিয়ে দিল মহানগরীর (Kolkata) অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কোন অবস্থায় রয়েছে। আগুন লাগার ঘটনার পর প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নেয়। তারপর আবার একই…

Avatar

কলকাতা: ফের একটা অগ্নিকাণ্ড। ফের একবার উঠল একগুচ্ছ প্রশ্ন।  সেইসঙ্গে দেখিয়ে দিল মহানগরীর (Kolkata) অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কোন অবস্থায় রয়েছে। আগুন লাগার ঘটনার পর প্রশাসন কিছু ব্যবস্থা নেয়। তারপর আবার একই পরিস্থিতি। ঘিঞ্জি এলাকায় চলে ব্যবসা, (Business) দোকানদারি। সেখানে আগুন (Fire) নেভানোর ব্যবস্থা কেমন রয়েছে, তা নজরদারির জন্য পরিকাঠামো নেই। ফলে পরিস্থিতির বদল হয় না।

নন্দরাম মার্কেট, স্টিফেন কোর্ট, আমরি হাসপাতাল, বাগড়ি মার্কেট, সূর্য সেন বাজার- অজস্র উদাহরণ রয়েছে। তালিকায় নতুন সংযোজন বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ড। ঘটনার পর হইচই হয়। দিন কয়েক বাদে সব আগের মতো। কেন বার বার আগুন লাগে? আর আগুন লাগলে তা সহজে আয়ত্তে আনা যায় না কেন?

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

দমকল সূত্রের খবর, কর্মীর সংখ্যা কম আর নজরদারির অভাবে এই পরিস্থিতি। দমকলে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা কমে গিয়েছে। সেইসঙ্গে শূন্য পদে নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে কাজে অনেক সমস্যা হচ্ছে। দমকলের নিয়ম অনুসারে নিচু তলা থেকে পদোন্নতি পেয়ে ধাপে ধাপে ওপরে উঠতে হয়। কারণ নিচু স্তরে কাজ না শিখে ওপরের তলায় পদোন্নতি দেওয়া যায় না। ওপরের পদে সরাসরি নিয়োগের ব্যাবস্থা নেই বললেই চলে। যেহেতু নিচু তলায় অনেক শূন্যপদ, তাই ওপরেরর তলায়ও ফাঁকা রয়ে যাচ্ছে। দমকলের ফায়ার অফিসার পদে পুরোটাই সরাসরি নিয়োগ করা যায়। ২০১১ সালে শেষ বার এই পদে নিযোগ করা হয়েছিল। তবে তাঁরা কেউই পদোন্নতি পাননি। এরপর রয়েছে লিডার। সেখানে সরাসরি নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা নেই। তার পরের ধাপ হল সাব অফিসার। এ ক্ষেত্রে  ২৫ শতাংশে সরাসরি নিয়োগ করা যায়। এর পরের ধাপ স্টেশন অফিসার সেখানেও সরাসরি নিয়োগের কোনও নিয়ম নেই। সেখান থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিভিশনাল অফিসার হওয়া যায়। এই পদে ২৫ শতাংশে সরাসরি নিয়গ করা যেতে পারে। সমস্যা হল ফায়ার অফিসার বা সাব অফিসার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যত থমকে রয়েছে। তাই পরের ধাপগুলিতেও শূন।পদের সংখ্যা যথেষ্ট।

অন্যদিকে, বিভিন্ন অফিস, বহুতল আবাসনের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কেমন, তা খতিয়ে দেখতে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে অডিট করার জন্য তৈরি হয়েছিল আইন। তবে সেই কাজ বিশেষ এগোয়নি। লাল ফিতেয় আটকে গিয়েছে সেই প্রক্রিয়া। অথচ আইন রয়েছে। সেইসঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় আবার জলের সমস্যাতেও পড়তে হয় দমকলকেও। ঘিঞ্জি এলাকায় অলিগলি রাস্তায় সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢুকতেও সমস্যা হয়।

দমকলের প্রাক্তন অধিকর্তা বিভাস গুহের মতে, শূন্যপদে কর্মী না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এর পর গোটা ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। গোটা ব্যবস্থায় ভারসাম্য থাকছে না। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল নিয়ম। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

About Author