ব্যক্তিগত ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। এই পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতার পরিবার ও উত্তরাধিকারীদের কী করণীয়, তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধের নিয়ম
ভারতে ব্যক্তিগত ঋণ সাধারণত অনিরাপদ ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়, অর্থাৎ এগুলোর বিপরীতে কোনো জামানত থাকে না। এই কারণে, ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ব্যাংক বা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি উত্তরাধিকারীদের থেকে ঋণ আদায় করতে পারে না, যদি না তারা ঋণের সহ-আবেদনকারী বা জামিনদার হন ।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে, ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি বা এস্টেট থেকে ঋণ পরিশোধ করা যেতে পারে। উত্তরাধিকারীরা শুধুমাত্র তাদের প্রাপ্ত উত্তরাধিকারী সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ ।
সহ-আবেদনকারী ও জামিনদারের ভূমিকা
যদি ঋণের চুক্তিতে কোনো সহ-আবেদনকারী বা জামিনদার থাকেন, তাহলে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাদের উপর বর্তায় । তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এমনকি যদি তারা ঋণের অর্থ ব্যবহার না করে থাকেন তবুও।
ঋণ বিমা ও জীবন বিমার গুরুত্ব
অনেক সময় ঋণগ্রহীতারা ঋণ নেওয়ার সময় ঋণ বিমা বা জীবন বিমা গ্রহণ করেন। এই বিমার মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর বিমার অর্থ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা যায়, ফলে পরিবারকে আর্থিক চাপের মুখোমুখি হতে হয় না ।
ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর করণীয়
ব্যাংককে অবহিত করুন: ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর বিষয়ে ব্যাংক বা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত জানানো উচিত।
প্রয়োজনীয় নথি জমা দিন: মৃত্যু সনদ, প্যান কার্ড, উত্তরাধিকারীর পরিচয়পত্র ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
ঋণ বিমা থাকলে দাবি করুন: যদি ঋণ বিমা থাকে, তাহলে বিমা কোম্পানির কাছে দাবি জানিয়ে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করুন।
উত্তরাধিকারী সম্পদের মূল্যায়ন করুন: প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)
প্রশ্ন ১: ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ঋণ কে পরিশোধ করবে?
উত্তর: যদি কোনো সহ-আবেদনকারী বা জামিনদার না থাকে, তাহলে ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি থেকে ঋণ পরিশোধ করা যায়।
প্রশ্ন ২: উত্তরাধিকারীরা কি ব্যক্তিগতভাবে ঋণ পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ?
উত্তর: না, তারা শুধুমাত্র প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের জন্য দায়বদ্ধ।
প্রশ্ন ৩: ঋণ বিমা থাকলে কি ঋণ পরিশোধ করা যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, ঋণ বিমার মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করা যায়, যা পরিবারকে আর্থিক চাপ থেকে রক্ষা করে।
প্রশ্ন ৪: সহ-আবেদনকারী বা জামিনদার না থাকলে ব্যাংক কী করতে পারে?
উত্তর: ব্যাংক ঋণগ্রহীতার সম্পত্তি থেকে ঋণ আদায়ের চেষ্টা করতে পারে।
প্রশ্ন ৫: ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর পর ব্যাংককে কীভাবে অবহিত করতে হবে?
উত্তর: ব্যাংকে মৃত্যু সনদ ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে ঋণগ্রহীতার মৃত্যুর বিষয়ে অবহিত করতে হবে।