দেশ

দাম বাড়ছে আটার, সরকারের ভাঁড়ারে নেই গম, এবারে কি ভারতে দেখা যাবে খাদ্য সংকট?

চার মাস আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জোর গলায় বলেছিলেন, ভারত এখন বিশ্বের ক্ষুধা নিবারনের জন্য তৈরি, কিন্তু এখন নিজেদের ক্ষুধাই ঠিক করে মেটাতে পারছে না ভারত

Advertisement

Advertisement

রাশিয়া ইউক্রেনের উপরে হামলা করতে ভারত বুঝতে পারে শস্য আমদানি এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। কয়েকদিনের মধ্যেই গম রপ্তানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। আন্তর্জাতিক মহলে কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সমালোচিত হয়েছিল একটা সময়ে। তবে দেশের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই বলা হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। তবে রপ্তানি বন্ধ করেও তো তেমন কোন লাভ হয়নি, খাদ্যশস্যের মজুত পরিমাণের স্তর যে এখনো পর্যন্ত স্থিতিশীল নয়, সেইটা আরো একবার প্রমাণ হল নব্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে।

Advertisement

ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী গত ১৪ বছরের মধ্যে ভারতের মজুদ শস্যের পরিমাণ এই মুহূর্তে রয়েছে সর্বনিম্ন স্তরে। এর কারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে গমের এবং আটার। গমের মুদ্রাস্ফীতি ১২ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলেছে। এই আবহে ভারতকে গম আমদানি করতে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই জল্পনা উড়িয়ে দিলেও, সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই সেটা বলা যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জানানো হয়েছে। সেই বিবৃতিতে ভারত সরকার বলেছে, “ভারতের গম আমদানির কোন পরিকল্পনা নেই। আমাদের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য দেশে পর্যাপ্ত শস্য মজুদ রয়েছে। ভারতের ফুড কর্পোরেশনের কাছে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য পর্যাপ্ত স্টক রয়েছে এই মুহূর্তে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। তবে ভারত কোন কালেই গম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষস্থানে ছিল না। এই আবহে কম উৎপাদনের কারণে এবারেও গম রপ্তানি করতে পারেনি ভারত। এরকম পরিস্থিতিতে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবী করা হয়েছিল, বর্তমানে গমের আমদানির উপরে যে ৪০ শতাংশ কর রয়েছে, সেটিকে কমিয়ে দিলে বা তুলে নিলে দেশের গমের মিল গুলিকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

তবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে যে বিশ্বের গম সরবরাহে প্রভাব পড়েছে, সেটা কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। তবে বিশ্ববাজারে গমের দাম এই মুহূর্তে যত তার থেকে অনেকটাই কম রয়েছে ভারতে গমের দাম। এই পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা গেলেও ভারত সরকারের তরফ থেকে সেই আশঙ্কা সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।