Categories: দেশনিউজ

হোয়াটসঅ্যাপে ১২১ জন ভারতীয়কে হ্যাক করার সম্ভবনা, উঠে এলো চাঞ্চল্যকার তথ্য

Advertisement

Advertisement

সম্প্রতি কিছু সময় ধরে শোনা যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে ইউজারদের উপর কড়া নজরদারি চালিয়ে স্পাইওয়্যার ঢোকানোর চেষ্টা করছে ইজরাইলের এক সংস্থা। সেপ্টেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ সরকারকে জানিয়েছিল ইজরায়েলের কোম্পানী স্পাইওয়্যার দ্বারা ১২১ জন ভারতীয় নাগরিককে টার্গেট করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে মে মাসের পর সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বার সতর্কতা জারি করা হয়।কিন্তু এই হ্যাকিংকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক এবং রাজনৈতিক মহলে তৈরী হয়েছে সরকারের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভারতের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবি এবং সাংবাদিকরা বলেন যে ইজরায়েল ভিত্তিক এনএসও গ্রুপের দ্বারা তাদের ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে ফোন টি হ্যাক হচ্ছে বলে লক্ষ্য করছেন তারা।হোয়াটসঅ্যাপ বুধবার সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্নভাবে অস্বীকার করেছে এনএসও।

Advertisement

গত শুক্রবারে শেষ দিকে হোয়াটসঅ্যাপে মে এবং সেপ্টেম্বর মাসের সতর্কতার বিষয় নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, “মে মাসে আমরা দ্রুত সুরক্ষার সমাধান করেছি এবং এই প্রসঙ্গে ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সরকার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।” এদিন তিনি আরও বলেন যে ১২১ জন ব্যাক্তি অবশ্যই হুমকির মুখে পড়েছিলেন তবে তাদের মধ্যে কতজন সফল হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন যে তার ফোনটি ট্যাপ করা হচ্ছে। এবং সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি জানি যে সরকার এই ইজরায়েলি এনএসওকে রাজনীতিবিদ, মিডিয়া, আইনজীবী এমনকি বিচারক, আইএএস, আইপিএস অফিসার এমনকি সামাজিক কর্মীদের কার্যকলাপ দেখতে ব্যবহার করছে।”

এই হ্যাকিং প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি সোনিয়া গান্ধী শনিবার বলেন, “মোদী সরকার কর্তৃক অর্জিত ইজরায়েলি পেগাসাস সফটওয়ারের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম কেবল অবৈধ ও অসাংবিধানিকই নয় সাংবিধানিক বরং তা লজ্জাজনক।”

Recent Posts