গরমে নাজেহাল গোটা বাংলা। প্রচণ্ড তাপ প্রবাহে কাতর বাচ্চা বৃদ্ধ সকলে। একমাত্র বৃষ্টি এসে শায়েস্তা করতে পারে গরমের এই কঠিন শাসনকে। কবে হবে বৃষ্টি, কবে হবে প্যাচপ্যাচে গরমের অবসান? এই প্রশ্নের মুখে দিন গুনছে শহরতলী থেকে গ্রাম। চলুন দেখে নিই আবহাওয়া দপ্তর কী জানান দিচ্ছে বর্তমান আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে।
হওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী আরও পাঁচ দিন ধরে চলবে চরম তাপপ্রবাহের স্রোত। অর্থাৎ, এখুনি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যদিও বাইরের সাময়িক মেঘলা আকাশ জানান দিচ্ছে বৃষ্টি আসতে বেশি দেরি নেই, সঠিক সময়েই বর্ষার আগমন ঘটবে গোটা বঙ্গ জুড়ে। তবে আগামী পাঁচ দিন ধরে চলতে থাকবে একই তাপপ্রবাহ। যেহেতু, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি রয়েছে, তাই চরম অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল হতে হবে সকলকে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসূত্রের পক্ষ থেকে, তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড, সিকিম ও বাংলায়। যদিও কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য সুখবর একটাই যে সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ সোমবার কিঞ্চিৎ বৃষ্টি ও ঝড়ের প্রলেপ মাখতে চলেছে। তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখী পারদ চড়চড় করে বাড়লেও সোমবার বিকেলে দিকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির মুখোমুখি হতে পারে কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকা। আজ, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ৩৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাময়িক বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভবনা রয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে। হওয়া অফিসের সূত্র অনুযায়ী, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টিপাত।
এই গরমের সময় পুষ্টিবিদরা বারবার বলে চলেছেন চরম গরম থেকে আত্মরক্ষার জন্য জল বেশি করে পান করতে হবে, পাশাপাশি ডায়েট চার্টে রাখতে হবে টক দই, ছাতু, লেবু ও অন্যান্য ফল। গরমকে শায়েস্তা করতে পারবেন একমাত্র আপনিই, তাই বাইরে বেরোলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন, নিন জল, বিশেষত লেবু জল বা পুদিনা জল দিনে দুবার পান করুন, এতে করে শরীর থাকবে ঝরঝরে আর ঘাম হলেও শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে। বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ধ্যান নেওয়া জরুরি বাবা মায়েদের। শরীরে যাতে ঘাম না জমে সেটা দেখা দরকার এবং প্রয়োজনীয় জল পান করাতে হবে।