পশ্চিমবঙ্গে তীব্র গরমে নাজেহাল জনজীবন। তার জেরে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মকালীন ছুটি আগেভাগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই ছুটির শেষ তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২ জুন, ২০২৫। এই সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন অভিভাবক মহলে স্বস্তি, তেমনই রয়েছে কিছু সংশয়ও।
গরমের প্রকোপ এতটাই বেড়েছে যে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ৩০ এপ্রিল থেকেই ছুটি কার্যকর হবে। প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক— সমস্ত স্তরের রাজ্য পরিচালিত স্কুলের জন্যই প্রযোজ্য এই নির্দেশ। এমনকী, উত্তরবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর স্কুলগুলিও এই সিদ্ধান্তের আওতায় এসেছে, যদিও শুরুতে সেগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাজ্যের শিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ২ জুন থেকে ফের খুলবে স্কুলের দরজা। তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা খবর নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। কেউ বলছেন, ছুটি আরও বাড়বে, কেউ বা দাবি করছেন, সরকার নাকি নতুন নির্দেশ আনছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও অতিরিক্ত ছুটির কথা ঘোষণা করা হয়নি।
শিক্ষা মহলের মতে, গ্রীষ্মে দীর্ঘ ছুটি শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, শিক্ষাগত ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়। তবু অসহ্য তাপমাত্রার মধ্যে ক্লাস চালানো একপ্রকার অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।
অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঠিক কবে স্কুল খুলছে?
২ জুন, ২০২৫ থেকে সমস্ত সরকারি স্কুল ফের চালু হবে।
২. কোন স্তরের স্কুলগুলিতে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য?
প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সমস্ত সরকারি স্কুলেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য।
৩. পাহাড়ি এলাকাগুলিতেও কি একই নিয়ম?
হ্যাঁ, দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর স্কুলগুলিতেও ২ জুন থেকে ক্লাস শুরু হবে।
৪. ছুটি আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি?
এই মুহূর্তে সরকার সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো খবরের ভিত্তিতে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
৫. অভিভাবকরা কীভাবে সঠিক তথ্য পাবেন?
সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা স্কুলের অফিসিয়াল নোটিশের মাধ্যমেই নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে।