রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (DA) মামলার রায় আসবে কি না, সেই উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। আজ, মঙ্গলবার ১২ অগাস্ট দুপুর ২টেয় সুপ্রিম কোর্টে ফের উঠছে বহুল আলোচিত এই মামলা। কয়েক বছরের পুরনো এই বিতর্ক ঘিরে রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে রয়েছে প্রবল আগ্রহ ও উদ্বেগ।গত বৃহস্পতিবারও শুনানি হয়েছিল, তবে সেদিন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেদিন ইউনিটি ফোরামের আইনজীবী করুণা নন্দী তীব্র প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অবস্থান নিয়ে। আদালতের নির্দেশে বিষয়টি স্থগিত রাখা হলেও, আজ ফের শুনানির দিন ধার্য হওয়ায় সকলের দৃষ্টি এখন দিল্লির দিকে।মঙ্গলবারের শুনানিতে একাধিক সিনিয়র আইনজীবী যুক্ত থাকবেন। কপিল সিব্বল রাজ্যের পক্ষে প্রায় ১৫ মিনিট সওয়াল করবেন বলে জানা গেছে। সরকারি কর্মচারী পরিষদের পক্ষে আইনজীবী পাতওয়ালিয়া ১০ মিনিট বক্তব্য রাখবেন। ইউনিটি ফোরামের করুণা নন্দী ৫-৭ মিনিটের সওয়াল করবেন, আর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষে গোপাল সুব্রক্ষ্মণ্যমের বক্তব্য রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।মলয় মুখোপাধ্যায়, কনফেডারেশন অব স্টেট গর্ভমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর পক্ষ থেকে জানিয়েছেন, নতুন হলফনামা নিয়ে আদালত আজই সিদ্ধান্ত নেবে কি না, তা এখনই বলা কঠিন। তবে, কর্মীদের প্রত্যাশা—আজই শুনানির ইতি ঘটুক। যদি তা না হয়, তবে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। মুখোপাধ্যায় আরও অভিযোগ করেন, “সরকার এই মামলা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে, যা আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই।”প্রসঙ্গত, এই মামলা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ প্রদানের দাবিকে কেন্দ্র করে। সরকারি কর্মীরা দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ায় তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। রাজ্য সরকারের তরফে তবে দীর্ঘদিন ধরেই বলা হচ্ছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়।আজকের শুনানি ঘিরে শুধু কর্মীরা নন, প্রশাসনিক মহলেও তীব্র কৌতূহল। সুপ্রিম কোর্ট যদি আজই চূড়ান্ত রায় দেয়, তবে তা ভবিষ্যতে রাজ্য-কর্মী সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আর যদি আবার স্থগিত হয়, তবে আন্দোলনের নতুন ধাপ শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।