২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এই শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর তাই ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন—এ বার কি ‘ভোটমুখী বাজেট’ আনছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গোটা রাজ্যজুড়ে উৎসুক চাহনি এবার রাজ্যের বাজেট পেশের দিকে। রাজনীতির ময়দানে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বাজেট শুধু আর্থিক নথি নয়, আগামী ভোটের রূপরেখাও হতে পারে। শাসক দলের একাংশের ধারণা, সরাসরি সুবিধা বা অনুদানের বড় কোনও ঘোষণা হয়তো এ বারের বাজেটে থাকছে না। বরং, আগামী সরকারের আর্থিক কর্মসূচিকে সামনে রেখেই তৈরি হতে পারে এই বাজেট। দলীয় স্তরেও রয়েছে তৃণমূলের নানা প্রত্যাশা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “পরিকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা এবং মানুষের স্বস্তির কথা মাথায় রেখেই বাজেট তৈরি হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই দিকেই সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে।”
বিরোধী শিবিরের দাবি, ভোটের আগে মানুষকে চমকে দিতেই কিছু অপ্রত্যাশিত ঘোষণা থাকতে পারে। কেন্দ্র আয়করে ছাড় দিয়ে ইতিমধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। তার জবাবে রাজ্য বাজেট কী বার্তা দেয়, তা দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।
অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও শিল্প নিয়ে বাজেটে থাকছে কী পরিকল্পনা?
রাজ্য বাজেট ঘিরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দিক সামনে আসছে। যেমন—
নতুন কর্মসংস্থান: যুবসমাজের জন্য কী ধরনের চাকরির সুযোগ আসছে?
এসএমই (ছোট ও মাঝারি শিল্প): ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?
সরকারি কর্মচারীদের ডিএ: মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কোনও ঘোষণা আসছে কি?
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত: পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়বে কি?
শিল্পায়ন: নতুন বিনিয়োগ বা প্রকল্পের খোঁজ মিলবে কি বাজেটে?
এই প্রশ্নগুলিই ঘুরছে অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিকদের আলোচনায়।
সূত্রের খবর, বাজেট পেশের আগে রাজ্যের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অমিত মিত্রের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেন অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেটের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়েছে সেই বৈঠকেই।
ভোটের প্রচারে বাজেট হতে পারে তুরুপের তাস?
যদিও সরাসরি নগদ সাহায্য বা ভর্তুকির সম্ভাবনা কম, তবু বাজেট ঘিরে দলীয় প্রচারে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। অর্থনৈতিক দিক নির্দেশনার পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তাও থাকবে বাজেটের পরতে পরতে—এমনটাই মত অনেকের। এ বার বাজেটেই ঠিক হবে, রাজ্যের আগামী ভবিষ্যতের রূপরেখা ঠিক কতটা আঁকা হচ্ছে এখনই!