পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ একেবারে চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময় তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ মে থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকেই পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন জিনিসের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৩০ মে পর্যন্ত লাগাতার ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল করোনাভাইরাস এর সংখ্যা। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই লকডাউন প্রক্রিয়া আরো ১৫ দিন বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে আগামী ১৫ জুন সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে বিধি নিষেধ উঠতে চলেছে। অবশেষে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরতে পারবে শহর কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ। তবে এর পরে কি হবে তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কোন জিনিসের উপরে ছাড় দেবেন তা নিয়ে এখনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। অনেকে আবার বলছেন বিধিনিষেধ কমিয়ে দিলেও এখনো রেল এবং মেট্রো নাও চালানো হতে পারে। অনেকের আবার মতামত সমস্ত শপিংমল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিতভাবে খুলবেন মমতা। ১৫ জুনের পর থেকেই সমস্ত শপিং মল ঠিকভাবে খোলার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এখন বাংলায় হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট একটা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী খোলা থাকে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন টানা একমাস যেভাবে কড়া বিধি-নিষেধ প্রয়োগ করা হয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের লাভ তো হয়েছে। তাতে যথেষ্ট সুফল মিলছে বাংলার। যেখানে প্রতিদিন ২০,০০০ এর বেশি করোনা কেস ধরা করছিল সেখানে এখন এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫,০০০ এর নিচে। অন্যদিকে, অনেকে আবার মনে করছেন এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ তুলে ফেলবেন মমতা। সোমবার উচ্চপদস্থ বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুরোপুরি বিধি-নিষেধ এখনো পর্যন্ত না তুলে কয়েকটি জায়গায় এখনও বিধি নিষেধ চালানো যেতে পারে। এই এক মাসে রাজ্যের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে, কিন্তু তা হলেও, আগের বছরের লকডাউন এর পরে ভারতে পশ্চিমবঙ্গ সব থেকে তাড়াতাড়ি অর্থনীতি আবার পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল। তাই প্রয়োজনীয় গতিবিধিগুলি কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে অত্যন্ত জরুরি কাজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে কিছু কম জরুরী কাজের জন্য নিষেধাজ্ঞা এখনো জারি থাকবে বলেই মতামত বিশেষজ্ঞদের।