পরিবর্তনশীল মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের ফলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় আগামী তিন দিন ধরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার পর্যন্ত এই অবস্থার স্থায়িত্ব থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে একদিকে যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবে রাজ্যবাসী, তেমনই কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়ার কী পরিস্থিতি?
আবহাওয়া দফতরের মতে, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বেড়েছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প উঠে এসে রাজ্যের আকাশে মেঘ জমতে শুরু করেছে। এই কারণেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও বৃষ্টির তীব্রতা খুব বেশি হবে না, তবে অনেক জেলায় এই বৃষ্টির প্রভাব পড়বে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকোন কোন জেলায় হতে পারে বৃষ্টি?
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার প্রভৃতি জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কৃষিজীবীদের জন্য কী বার্তা?
এই সময়কার বৃষ্টি কৃষকের জন্য উপকারী হতে পারে। যেসব জায়গায় গরমে শুকনো অবস্থা তৈরি হয়েছিল, সেখানে এই জলবর্ষণ ফসলের জন্য ভালো প্রভাব ফেলবে। তবে যারা রোপন বা বীজ বপনের কাজ শুরু করতে চাইছেন, তাঁদেরকে সতর্কভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের জীবনে প্রভাব পড়বে?
বৃষ্টির ফলে কিছুটা তাপমাত্রা কমতে পারে, যা গ্রীষ্মের দাবদাহে কিছুটা স্বস্তি এনে দেবে। তবে অফিসগামী বা ছাত্রছাত্রীদের জন্য সকাল ও সন্ধ্যার বৃষ্টিপাত কিছুটা অসুবিধা তৈরি করতে পারে। রাস্তাঘাটে জল জমার সম্ভাবনা যদিও খুব বেশি নয়, তবুও নাগরিকদের ছাতা ও প্রয়োজনে রেইনকোট সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রশ্নোত্তরে আবহাওয়া পরিস্থিতি
১. কবে থেকে বৃষ্টি শুরু হবে?
বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে রবিবার পর্যন্ত থাকতে পারে।
২. বৃষ্টির তীব্রতা কতটা হতে পারে?
বৃষ্টি মূলত হালকা থেকে মাঝারি রকমের হবে, তবে কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিও হতে পারে।
৩. কোন কোন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি?
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়, বিশেষত কলকাতা, জলপাইগুড়ি ও মেদিনীপুরে।
৪. এই বৃষ্টি কৃষকদের জন্য কীভাবে উপকারী?
ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় জল সরবরাহ হবে, যা মাটির আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেবে।
৫. শহরবাসীদের কী করণীয় এই সময়ে?
ছাতা নিয়ে বেরোনো, ট্র্যাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং আবহাওয়ার আপডেট দেখে পরিকল্পনা করা উচিত।