সারা দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে ধীরে ধীরে শীতলতা বাড়তে শুরু করেছে এবং তার সাথেই কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। উত্তরে হাওয়ার দাপটে এখন আর পশ্চিমবঙ্গে টেকা দেয়। পশ্চিমবঙ্গের তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছে এই কয়েকদিনের মধ্যে। আর কয়েকদিন পরেই শেষ হতে যাচ্ছে ডিসেম্বর মাস। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিটি রাজ্যে ব্যাপক শীত পড়ে। রাজধানীর দিল্লির কথা বললে আজ অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি রয়েছে দিল্লিতে। এমনকি রাজস্থানে ও তাপমাত্রা দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যায় প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ আগুনে হাত সেঁকতে শুরু করেছেন। ঠান্ডা এবং কুয়াশার মধ্যেই ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তামিলনাড়ু এবং কেরালায় আগামী দুই তিন দিনের জন্য ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। আইএমডি জানিয়েছে ১৫ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর কেরালার বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
আইএমডি চেন্নাইয়ের রিপোর্ট অনুসারে তামিলনাড়ুর থুতুকুডি, রামনাথপুরম এবং শিবগঙ্গা জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে কন্যাকুমারী তিরুনেলভেলি থানজাভুরের দু এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ১৭ ডিসেম্বর কুদ্দালোর, মালিয়াদুথুরাই, নাগাপট্টি নাম, তিরু ভারুর, রামনাথপুরাম, কন্যাকুমারী এবং করাইকাল অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে চেন্নাই এর আবহাওয়া দপ্তর। ১৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর এইসব জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমডি চেন্নাই।
রাজস্থানের আবহাওয়ার দিকে নজর রাখলে, আবহাওয়া এক সপ্তাহ শুষ্ক থাকতে পারে রাজস্থানে। আগামী 16 ডিসেম্বর থেকে রাজস্থানের কিছু এলাকায় আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে তবে বৃষ্টি হবে না। অনেক জায়গায় কুয়াশা থাকতে পারে। রাজস্থানের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা দ্রুত হারে কমতে শুরু করেছে। তবে বিকেলের রোদ থাকায় শীত থেকে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ১৭ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে