ভোটার কার্ড তৈরি হওয়ার পর বাড়িতে পৌঁছাতে যে দীর্ঘ সময় লাগত, সেই পরিচিত চিত্র বদলে যেতে চলেছে। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী এবার ভোটার কার্ড হাতে আসবে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই। নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে প্রক্রিয়া হয় আরও দ্রুত, নির্ভুল এবং সময়সাপেক্ষ।
এই পরিবর্তনের জেরে রাজ্যের প্রতিটি ভোটার উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে — কীভাবে এত কম সময়ে পৌঁছবে ভোটার কার্ড? আদৌ কি বাস্তবে সম্ভব এই নতুন সময়সীমা রক্ষা করা?
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকী ছিল আগের পদ্ধতি?
আগে ভোটার কার্ড ছাপানোর পর তা প্রথমে পাঠানো হত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে। সেখান থেকে কার্ডগুলি যেত জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে। এরপর ডাক বিভাগের মাধ্যমে তা পৌঁছাত সংশ্লিষ্ট ভোটারের ঠিকানায়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার জন্য কার্ড হাতে আসতে সময় লাগত বেশ কয়েক সপ্তাহ, এমনকি মাসও।
নতুন পদ্ধতিতে কী থাকছে?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভোটার কার্ড ছাপানো হবে সরাসরি সরস্বতী প্রেসে। সেখান থেকে কার্ড যাবে সরাসরি কলকাতার জিপিও-তে (General Post Office)। জিপিও থেকে তা সরাসরি পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের ঠিকানায়। মাঝখানের পর্যায়গুলি বাদ পড়ায় সময় অনেকটাই কমে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও তার বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এবং সরস্বতী প্রেসের প্রতিনিধি দল। নির্বাচন কমিশনের অভিমত, এই নতুন পদ্ধতিতে ভোটার কার্ড পৌঁছনোর গতি যেমন বাড়বে, তেমনি ভুল ঠিকানায় যাওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।
এখন প্রশ্নগুলি
কবে থেকে কার্যকর হবে নতুন পদ্ধতি?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে এখনও নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি, তবে দ্রুত তা চালু হওয়ার সম্ভাবনা।
আগে যারা আবেদন করেছেন, তারা কোন পদ্ধতিতে কার্ড পাবেন?
পুরনো পদ্ধতিতেই তাঁদের কার্ড পৌঁছাবে। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেই আপাতত নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
যদি কার্ড হারিয়ে যায়, নতুন নিয়মে কি দ্রুত ডুপ্লিকেট মেলে?
এ বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য এখনও মেলেনি, তবে ভবিষ্যতে এই পদ্ধতির মধ্যেই ডুপ্লিকেট কার্ডও পাঠানো হতে পারে।
সকল জেলায় একসঙ্গে চালু হবে কি এই ব্যবস্থা?
প্রাথমিকভাবে শহরাঞ্চলে এই পদ্ধতি শুরু করে পর্যায়ক্রমে রাজ্যের অন্যান্য জেলায় তা চালু করা হতে পারে।
১৫ দিনের মধ্যে কার্ড না এলে কোথায় অভিযোগ জানাবেন ভোটাররা?
জেলা নির্বাচনী দফতরে অথবা নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।
নতুন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ভোটার কার্ড পাওয়ার প্রক্রিয়ায় এক নতুন দিক খুলে যাবে। নাগরিক পরিষেবা আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।