শ্রেয়া চ্যাটার্জি – বিশ্ব যখন করনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত, তখন সর্বত্র চলছে এর সচেতনতা প্রচার করা। তবে আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ কতটা সচেতন সেই নিয়ে অনেকের মনে সংশয় দেখা গেছে। স্বয়ং বিদেশে পড়াশোনা করে তারা আসছেন, এবং সহজে তারা সাধারণের মধ্যে মিশেও যাচ্ছেন। যখন বারবার বলা হচ্ছে এই করোনাভাইরাস প্রচন্ড ছোঁয়াচে, বিদেশ থেকে যারা আসছেন তারা সাধারণত এটি বয়ে নিয়ে আসছেন, তাহলে তারা কি করে এতটা অসচেতন হন? তারা তো শিক্ষিত সমাজ। এক সময় বুক বাজিয়ে তারা নিজেদেরকে বলে বেড়িয়েছেন তারা বিদেশে থাকেন, অর্থাৎ তারা সুশিক্ষিত।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে একদল গ্রামের মানুষ তারা পটচিত্রের মাধ্যমে ছবি এঁকে সুন্দর করে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তাদের গ্রামের মানুষদের মধ্যে গান গেয়ে প্রচার করছেন। তাদের অসাধারণ এই প্রয়াস। গ্রামের যে সমস্ত মানুষেরা খবর বুঝতে পারেন না তারা অশিক্ষিত পড়াশোনা জানেন না, তাদের কেও তো সচেতন হতে হবে, তাই এই স্বল্প শিক্ষিত মানুষ গুলো সেই দায়িত্ব নিয়েছেন। না এদের কোনরকম কলেজ, ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী নেই তবে রয়েছে মানবিকতা, এবং উপযুক্ত শিক্ষা। শুধু বই পড়েই শিক্ষিত হওয়া যায়না এই কথা তারা প্রমাণ করলেন। নিজেদের শিল্পের মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন করলেন।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএমন মানুষদের দেখে আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের একটু লজ্জা বোধ হওয়া উচিত, আমরা এদেরকে দেখে হয়তো কোন সময় নাক সিঁটকিয়েছি বা ভুরু কুঁচকেছি, কিন্তু আজ তারা যে কাজটি করছে সেটি যথেষ্ট প্রশংসনীয়। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের উচিত আজ এদের থেকে একটু শিক্ষা নেওয়া।
শহর থেকে গ্রাম প্রত্যেকটা জায়গায় যদি মানুষ এইভাবে সচেতন হয় তাহলে একদিন এই ভারতবর্ষ হয়তো করোনা ভাইরাস মুক্ত হবে, কিন্তু তা নাহলে ভারতবর্ষকে ও ইতালির মতো শয়ে শয়ে মানুষকে হারাতে হবে। ভারতের প্রতিটা শহর নগর তৈরি হবে প্রেত নগরীতে, এটা নিশ্চয়ই আমরা কামনা করি না। তাই একটি সুন্দর ভারত বর্ষ যদি আমরা রাখতে চাই তাই আমাদের দেশের প্রত্যেকটা নাগরিককে সচেতন হতে হবে। হাঁচি, কাশি, সর্দি হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যান। বাড়িতে অন্যান্য মানুষের থেকে আলাদা থাকুন। আতঙ্ক না, সতর্ক থাকুন।