বর্তমানে সবকিছুই ধীরে ধীরে অনলাইন হয়ে যাচ্ছে। আর এই যুগে অনলাইনে ইউপিআই পেমেন্ট কোন নতুন বিষয় নয়। তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা ভীষণভাবে জরুরী। আর সেই সতর্কতা বজায় রাখতে গেলে মেনে চলতে হবে বেশ কয়েকটি কথা। সম্প্রতি এই নিবন্ধের সূত্রেই সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১) অজানা পেমেন্টের অনুরোধে সাড়া না দেওয়া- ইউপিআইয়ের ক্ষেত্রে যদি কোন অজানা নম্বর কিংবা সূত্র থেকে পেমেন্টের অনুরোধ আসে তবে সেটি এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। কারণ সেই সূত্রকে ভালোভাবে যাচাই না করেই যদি পেমেন্ট করা হয় তাহলে, অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now২) ইউপিআইতে লেনদেনের সীমা-
ক) ইউপিআইয়ের মাধ্যমে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে সারাদিনে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা লেনদেন করতে পারে।
খ) একটি ব্যক্তি ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট, স্টক মার্কেটের পেমেন্ট ও ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আদান-প্রদান করতে পারেন।
গ) ইউপিআই ব্যবহারকারী প্রতিটি ব্যক্তি প্রতিদিন মোট কুড়িটি লেনদেন করতে পারেন। সীমা অতিক্রান্ত হলে ২৪ ঘন্টা পরে আবারো লেনদেন করা সম্ভব।
৩) ইউপিআই আইডি যাচাই করা প্রয়োজন- যেকোন ইউপিআই আইডিতে টাকা পাঠানোর আগে সেটি যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ কোথায় টাকা পাঠাচ্ছি সেটা জালিয়াতি হওয়ার আগে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪) কিউআর কোড স্ক্যান করার সময় মনে রাখার মতো বিষয়- বর্তমানে বেশিরভাগই কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করে থাকেন। এক্ষেত্রে ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া ভীষণভাবে জরুরী। বেশ কয়েকমাস ধরে এই কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে জালিয়াতি পর্ব চলছে। এই স্ক্যানের মাধ্যমেই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছিল টাকা। আর এক্ষেত্রে কিউআর কোড যাচাই করে নিয়ে পেমেন্ট করাই শ্রেয়।
৫) ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার- ইউপিআইয়ের সূত্র ধরে রুপে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রথমে এই ক্রেডিট কার্ড ইউবিআই একাউন্টের সাথে লিঙ্ক করে নিয়েই তারপর এই লেনদেন পর্ব সারতে হবে।