Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

লিস্টে নাম নেই, পরীক্ষার মুখে অসংখ্য পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

কলকাতা: প্রথম সেমিস্টার প্রায় দোর গোঁড়ায়, কিন্তু তাও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of Calcutta) অধীনস্থ কলেজগুলির বেশ কিছু পড়ুয়ারা পাননি এখন রেজিস্ট্রেশন নম্বর (Registration Number)। হতে পারে বছর নষ্ট। চলতি শিক্ষাবর্ষে…

Avatar

কলকাতা: প্রথম সেমিস্টার প্রায় দোর গোঁড়ায়, কিন্তু তাও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of Calcutta) অধীনস্থ কলেজগুলির বেশ কিছু পড়ুয়ারা পাননি এখন রেজিস্ট্রেশন নম্বর (Registration Number)। হতে পারে বছর নষ্ট। চলতি শিক্ষাবর্ষে যারা বিভিন্ন কলেজে প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রতি আপলোড করা পড়ুয়াদের নামের তালিকায় নেই অনেকের নামই। অর্থাৎ প্রযুক্তিগতভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়নি তাদের। কিন্তু সেই সমস্ত কলেজ পড়ুয়ারা জানান, তারা এত দিন নির্দিষ্ট কলেজ পড়ুয়া হিসেবে অনলাইন ক্লাস করে গিয়েছেন। রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি জানতেই পারেননি তারা। আবার অনেকেরই দাবি, একাধিক কলেজে ভর্তি হয়ে কোন কলেজের নামে রেজিস্ট্রেশন করাবেন, তাই বুঝতে পারেননি।

করোনা পরিস্থিতির জেরে, এ বার কলেজগুলিতে ভর্তি এবং রেজিস্ট্রেশন দু’টোই হয়েছিল অনলাইনে।অধ্যক্ষদের বক্তব্য, অনেক ছাত্রছাত্রীই সাইবার কাফে থেকে ভর্তির আবেদনপত্র জমা দেন কিন্তু সেখানে তাঁদের মোবাইল নম্বর এবং ইমেল অনেক সময়েই ছিল ভুল। তাই নবাগত ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে জানিয়ে তাঁদের দিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করানোটাও কলেজ কর্তৃপক্ষদের পক্ষে দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখনও পর্যন্ত খাতায়কলমে কলেজে আসেননি ছাত্রছাত্রীরা । অতিমারি পরিস্থিতির কারণে এখনও ক্যাম্পাস বন্ধ, তাই চলছে অনলাইন ক্লাস।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

বিশ্ববিদ্যালয়ের আপলোড করা তালিকায় বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী তাঁদের নাম না থাকায় যোগাযোগ করা হয় সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে। বেশ কয়েকটি কলেজ ওই পড়ুয়াদের জানিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। গত মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিটি-র নেতৃত্বে প্রথম সিমেস্টারের ওই পড়ুয়ারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। ওই ছাত্র সংগঠনের অন্যতম সদস্য সুব্রত খাটুয়া মারফত খবর, বৃহস্পতিবারও সহ-উপাচার্য জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে জানালে ছাত্রদের এই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। সুব্রত বলেন, ‘‘এই সমস্যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর। যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবনের একটা বছর পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।’’

এই বিষয়ে বিভিন্ন কলেজে দেখা যায় বিভিন্ন সমস্যা। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয় চেকলিস্ট আপলোডের পরে তাঁর কলেজের প্রায় একশো জন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, তাঁরা ভর্তি হয়েছেন কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করেননি। তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় যদি কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে পথ বার করে, তা হলে এই ছাত্রছাত্রীদের একটি বছর নষ্ট হওয়া আটকানো যাবে।’’ এদিকে বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় জানালেন, অনেক পড়ুয়া একাধিক কলেজে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু কলেজকে কিছু জানাননি আর রেজিস্ট্রেশনও হয়নি। এখন তাঁরা এসে বলছেন যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাননি। এমন ঘটনা তাঁর কলেজেও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। অধ্যক্ষদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বা দু’দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল খুলে দিলেই মিটে যাবে এই সমস্যা এবং এই পড়ুয়াদের বছর নষ্ট হওয়া আটকানো সম্ভব হবে। তবে এ বিষয়ে মতামত জানা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের। এমনকি তার কোন উত্তর মেলেনি ফোন এবং টেক্সট মেসেজে।

About Author