ভারতের সবথেকে ধনী রেলওয়ে স্টেশন কোনটি জানেন? তালিকায় রয়েছে বাংলার একটি স্টেশনও

রেলওয়ে ভারতের সবথেকে বেশি ব্যবহৃত যাত্রার মাধ্যম হয়ে উঠেছে যেখানে ধনী মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে গরিব সবাই একসাথে যাত্রা করতে পারেন। আমাদের দেশে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক প্রতিটা কোণে ছড়িয়ে রয়েছে এবং এ কারণে আজ আমাদের দেশের রেলপথ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিচিত। আজ আমরা ভারতীয় রেল সম্পর্কে একটি বিশেষ তথ্য দিতে চলেছি যা আপনারা হয়তো কখনোই জানবেন না। আপনি কি জানেন ভারতের সবথেকে বেশি আয় করা রেলওয়ে স্টেশন কোনটি? আজ আমরা সেটাই আপনাদের জানাতে চলেছি।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতীয় রেলের সব থেকে বেশি উপার্জন করার রেলওয়ে স্টেশন হলো নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন। আপনাদের জানিয়ে রাখি রেলস্টেশন থেকে যত টাকাই আয় হোক না কেন, এর মধ্যে একটা অংশ কিন্তু নন ফেয়ার রেভিনিউ হিসেবে পরিচিত হয়। এই নন ফেয়ার রেভিনিউ সম্পর্কে বলতে গেলে, এটা হল একধরনের আয়ের মাধ্যম যেটা ভারতীয় রেলওয়ে করে থাকে নিজের স্টেশন গুলি থেকে। ব্র্যান্ডিং স্পন্সারশিপ ওয়েটিং রুম ক্লক রুম থেকে এই আয় আপনি করতে পারেন। আর সেক্ষেত্রে ভারতীয় রেলের সব থেকে ব্যস্ততম স্টেশন নতুন দিল্লি রয়েছে একেবারে এক নম্বরে। ভারতের রাজধানী হওয়ার কারণে এখানে ননফেয়ার রেভিনিউ অনেকটাই বেশি। কিন্তু এবারে প্রশ্নটা হলো নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের আয় কত। চলুন সেটা এবারই জেনে নেওয়া যাক।

আপনাদের জানিয়ে রাখি নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের মোট আয় হল ২৫ হাজার কোটি টাকা। যাত্রী এবং মালবাহী যানবাহনের পাশাপাশি এই সমস্ত ব্র্যান্ডিং এবং অন্যান্য ক্ষেত্র থেকেও কিন্তু আয় করে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলের মোট বার্ষিক আয় হল ৬ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা আসে শুধুমাত্র নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে। আর নতুন দিল্লির পরে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সব থেকে বেশি উপার্জনকারী স্টেশন হলো হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন। তিন নম্বরে রয়েছে দিল্লির হযরত নিজামুদ্দিন রেলওয়ে স্টেশন। চতুর্থ এবং পঞ্চম সবচেয়ে উপার্জনকারী রেলওয়ে স্টেশনের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশন এবং আমেদাবাদ রেলওয়ে স্টেশন। এই সমস্ত স্টেশন গুলিও প্রতি বছরে ১ হাজার থেকে ১৮০০ কোটি টাকা আয় করে। যদিও হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের আয় মোটামুটি ১৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।