আজ অর্থ তার নীতি হারিয়েছে, প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অগ্নিবলয়ের উপর

Advertisement

Advertisement

যে কোনো দেশের মেরুদণ্ড বলতে আমরা অর্থনীতি এবং সঠিক প্রতিরক্ষা বিভাগকে বোঝাই। এই দুইয়ের সংমিশ্রণই প্রশ্রয় দিয়ে থাকে সেই দেশের সার্বিক উন্নতিকে। কিন্তু এটি শুধুমাত্র পাঠ্যে আবদ্ধ থাকলে, কোন ভাবেই কোনো দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। তবে বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতি কিছুটা হলেও এক ভয়ঙ্কর সত্যের সম্মুখীন যা বিভিন্ন মহলে এক আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ তো বটেই, অর্থনীতিবিদদেরও কপালে ভাঁজ পড়েছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের এই কাঁচের স্বর্গ সম আর্থসামাজিক পরিকাঠামোর এক নির্মম সাক্ষ্য বহন করে।

Advertisement

ভারতের এপারে ওপারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন সংস্থা আজ এক তীব্র সংকটের মুখোমুখি। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে থমাস কুকের মত নামী ও দামী সংস্থাগুলো। এর পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বেশ উদ্বেগজনক। বিভিন্ন প্রাইভেট ব্যাংক যেমন HDFC এবং HSBC স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ব্যাংকিং সিস্টেম যদি ধসে পড়ে, তাহলে এক লক্ষ টাকার বেশী অঙ্কের টাকার দায়িত্ব ওনারা নেবেন না। এর অর্থ “বিপুল আর্থিক বিপর্যয়”, গ্রাহকদের কাছে এর থেকে বেশী আর কি দুঃসংবাদ হতে পারে। এছাড়া HSBC ইর মত ব্যাংক বেশ মোটা সংখক কর্মী ছাঁটাই করবে বলে আগের থেকেই ওয়ার্নিং দিয়ে রেখেছে। এবং বলাবাহুল্য করবেও! এই তীব্র ডামাডোলের মাঝে সরকারী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি ও মহার্গ ভাতার ঘোষণা এক নিষ্ঠুর উপহাস ছাড়া কিছুই নয়! এক প্রহসনও বটে, কারণ কথায় আছে,”বামুন বাড়ির নিমন্ত্রণ, আচারে না পড়লে বিশ্বাস নেই”। সাম্প্রতিক আরেকটি খবর হচ্ছে infosys যা তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক ধ্রুবতারা, অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য অগ্নিবলয়ের মুখোমুখি। কি হতে চলেছে কর্মীদের ভবিষ্যৎ তা ভাবতেও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

Advertisement

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ শ্রী অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জী বলেছেন যে “The economic ground of India is shaky”. এর মূল অর্থ হচ্ছে এই দোদুল্যমান আর্থিক অনটন এক স্থায়ী চেহারা নিয়েছে। তাই আগামীদিনে চাই এক সুস্থ পরিকল্পনা যা মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। মৌলিক অধিকারগুলোর থেকে বঞ্চিত হতে হবে না আমজনতাকে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে হবে না মধ্যবিত্ত পরিবারদের। থাকবে এক নিশ্চিন্ত রোজগারের জায়গা। থাকবে এক নিরাপত্তা। রাজু বীরজুর মত লোকেদের মরতে হবে না অনাহারে ও অভাবে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না তাদের পরিবার, তাদের ভালবাসা, তাদের অস্তিত্ব। তর্ক বলবে জোড়গলায় এই সকল এক “utopian” ধ্যান ধারণা, মানবিকতাও কি একই কথা বলবে? কি মত আপনাদের!!

Advertisement

– কুণাল রায়

Recent Posts