তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দল কিভাবে এগিয়ে যাবে সেই রূপরেখা তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন তিনি। পদোন্নতি হওয়ার পরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন আগামী এক মাসের মধ্যে তিনি এবং তৃণমূলের অন্যান্য সদস্যরা এই বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে। কোন কোন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ইউনিট খোলা হবে এবং সেগুলোকে কিভাবে বাড়ানো হবে, এবং কিভাবে ওই ইউনিটগুলিকে মেইনটেইন করা হবে তা নিয়ে সমস্ত প্ল্যানিং তৈরি হবে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যে রাজ্যে যাক না কেন সেই রাজ্যে শুধুমাত্র ভোটের লড়াই করতে যাবে না, বরং তাদের লক্ষ্য থাকবে সেই রাজ্যকে সসম্মানে জয় করা। প্রশ্ন উঠল পরিবারবাদের। ২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুয়া ভাতিজা অর্থাৎ সহজ বাংলায় পিসি ভাইপো বলে কটাক্ষ করে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন সেই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্যকে উপদেশ দিলেন, যাতে তিনি দিল্লির নেতাদেরকে বলেন একটি নতুন আইন আনতে যেখানে লেখা থাকবে কোন নেতার বাড়ির কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই প্রসঙ্গে তিনি অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের প্রসঙ্গ তুললেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে অভিষেক বলেন তৃণমূল এমন একটা দল যেখানে ওয়ান ম্যান আর্মি। গোটা দেশের তৃণমূল একটা ভালো জিনিস করতে চাইছে। সেখানেই তৃণমূল বিরোধীরা তাদেরকে বাধা দিচ্ছে। এছাড়াও বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারবাদের অভিযোগ তুলে তিনি বললেন যাদের ছেলে এমপি তাদেরকে আগে সরানো দরকার, পরে অন্যদের দিকে চিন্তা করা উচিত।
তার পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টিকে একতরফা কুৎসা এবং প্রচার বন্ধ করার উপদেশ দিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা গঠনমূলক আলোচনা করুন, এখানে কুৎসা করে কোন লাভ নেই। অর্থাৎ, অভিষেক হওয়ার পর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাবে ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বিরোধীদের তিনি কোনোভাবেই ছেড়ে কথা বলবেন না।