গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল এখন সিবিআই হেফাজতে। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল কেষ্ট গ্রেফতার প্রসঙ্গ নিয়ে। বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার সম্পত্তির হদিশ পেতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে সিবিআই আধিকারিকদের। এবার এই পরিস্থিতিতেই কেষ্ট মন্ডলের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ পার্থগড় বেহালায় উপস্থিত হয়ে উপস্থিত জনতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে বললেন, “কেষ্টকে কেন গ্রেফতার করলেন? কি করেছিল কেষ্ট?” এছাড়াও তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, “ওদের এজেন্সির কিছু লোক তাদের টাকা দিয়ে পোষে। তাদের দিয়ে খবর পাচার করে।”
আসলে একবার নয় দুবার নয় প্রায় ১০ বার সিবিআই-এর ডাকে সাড়া না দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্য জেরা এড়িয়েছিলেন বীরভূম তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর তাকে গত বৃহস্পতিবার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই আধিকারিকরা। আপাতত তাকে আদালত ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। নিজাম প্যালেসের গেস্ট কোয়ার্টারে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএই প্রসঙ্গে আজ বেহালায় উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যতবার ইলেকশন হয়েছে, “ওকে আপনারা ঘরবন্দী করে রেখে দিয়েছেন। একটা ইলেকশনেও বেরোতে পারেনি। কেষ্টকে জেলে রেখে দিয়ে কি হবে। ছেলেটা গত দু’বছর কষ্ট পেয়েছে। আমি জানি বলে তাই। ওর বউ ক্যান্সারে মারা গিয়েছে। প্রতিদিন শুধু কলকাতা থেকে বোলপুর যাতাওয়াত করতো। পঞ্চায়েত ভোটের সময় ওর বউয়ের অপারেশন হচ্ছে। আমাকে একদিন বলল, দিদি তোমার বৌমা বলেছে তোমরা পঞ্চায়েত ইলেকশন দেখো, আমাকে দেখতে হবে না। দলের কাজ করো।”
এছাড়াও কেষ্ট মন্ডল এর ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্ট কেন কিছু চায় না? একদিন আমি ওকে বলেছিলাম তুই তো কিছু চাস না। এমএলএ হতে বলুন, হবে না। এমপি হতে বলুন, হবে না। আমি অনেকবার বলেছি তুই রাজ্যসভায় যা। বলে দিদি যাব না।” এছাড়াও আজ তৃণমূল নেত্রী সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন, “প্রথমে প্রমাণ হওয়ার আগেই আপনারা বদনাম করে দেন। উনারা বলছে এত গরু পেল। আবার কেউ বলছে এত টাকা পেল। সবার শেষে এই একটা কথা, সূত্র মারফত। হোয়াট ইস সূত্র?”